মেঘনায় নৌকাডুবি
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪ ২০:৪৯ পিএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪ ২১:০৯ পিএম
কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জের মাঝামাঝি এলাকায় মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ভ্রমণতরীটি ঘটনার দুই দিন পর উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল। এ ছাড়া আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর এ পর্যন্ত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে ডুবে যাওয়া ভ্রমণতরীটি উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর চরে ওঠানো হয়। রবিবার উদ্ধার করা মরদেহগুলো হলো, নরসিংদীর বেলাব থানার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে কলেজশিক্ষার্থী আনিকা আক্তার, ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে ও নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ভৈরব নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী নৌযান টার্ক বোর্ড অগ্রণীর মাধ্যমে ভ্রমণতরীটি আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর চরে রাখা হয়েছে। উদ্ধারের পর ভ্রমণতরীটির ভেতরে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। তবে বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর নিচ থেকে ভেসে ওঠা তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মরদেহগুলো ভৈরব নৌ-থানার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
দুর্ঘটনায় এখনও পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা ও তার শিশুসন্তান রাইসুলের মরদেহ পাওয়া যায়নি। তাদের মরদেহ না পাওয়া পর্যন্ত ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপুলিশের নজরদারি অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভৈরব ফায়ার স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন।
এদিকে ঘটনার পর ভ্রমণতরীটির চালক ও ইঞ্জিন মিস্ত্রির নামে আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন নিখোঁজ কনস্টেবল সোহেল রানার বাবা আব্দুল আলিম। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি নাহিদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বেপরোয়া গতিতে ও অসতর্কতায় নৌকা চালানোর দায়ে এ অভিযোগ করেছেন নিখোঁজ কনস্টেবলের বাবা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভৈরবের মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ২০ যাত্রীসহ একটি ভ্রমণতরী ডুবে যায়। এ সময় ১২ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তাদের মধ্যে ঘটনার দিন কমলপুর এলাকার সুবর্ণা নামে এক নারী হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
নৌপুলিশের কিশোরগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শনি ও রবিবার পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল ও তার ছেলের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’