মাদারীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪ ২২:১৬ পিএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪ ২৩:১৬ পিএম
নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা দখল করে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় নির্মাণের জন্য বাঁশ ও কাঠ। প্রবা ফটো
মাদারীপুর ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস নির্মাণের কাজ চলছে। দেখাদেখি সেখানে এখন অফিস করতে চায় স্থানীয় যুবলীগও। সেখানে চোখ পড়েছে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীরও। তিনি গড়ে তুলতে চান একটি গ্রন্থাকার। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা ঘিরে তিন পক্ষেরই এমন তোড়জোড় চলছে।
জানা যায়, নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের দুই একর জায়গায় নির্মিত। আশেপাশের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ে নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে জায়গা বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, পরিষদের খালি জায়গায় ইতোমধ্যে ছয়টি দোকান গড়ে উঠেছে। সেগুলোর মালিক সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুজন মন্ডল, অতুল হাওলাদার, কেশব বালা, বিজেন হাওলাদার ও জগদিশ মধু। পরিষদের জায়গায় এখন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস নির্মাণের কাজ চলছে।
নবগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নীল রতন বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। আমি চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে একটি অস্থায়ী দলীয় অফিস নির্মাণ করতেছি।’
তার দাবির বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সবার একটি বসার স্থান দরকার বলে আমাকে জানান। যেহেতু জায়গা খালি রয়েছে, তাই তাদের অস্থায়ী একটি ঘর তৈরির কথা বলেছি।’
আওয়ামী লীগের অফিস নির্মাণের বিষয়ে ডাসা উপজেলা যুবলীগের সদস্য দুলাল ঢালী বলেন, ‘এখানে ব্যক্তিগত জায়গায় একটি আওয়ামী লীগের অফিস রয়েছে। আমরা দলীয় সকল কার্যক্রম এখানেই বসেই চালাই। এখন তারা যদি নতুন করে সরকারি জায়গায় অফিস ঘর নিমার্ণ করেন, তাহলে যুবলীগের অফিস করতেও জায়গা দিতে হবে।’
পরিষদের জায়গায় গ্রন্থাকার দিতে চাওয়া ব্যবসায়ী নৃপেন চন্দ্র বৈধ্য বলেন, ‘আমিতো সামাজিক একটি প্রতিষ্ঠান গ্রন্থগার তৈরি করতে চাচ্ছি। যেখানে থাকবে সকল প্রকারের বই। এতে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।’
তবে ডাসার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইদুজ্জামান হিমু বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় কোনো প্রকার স্থাপনা তৈরি করা যাবে না। আমরা তাদেরকে নিষেধ করে দিয়েছি।’
ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ আফরোজ বলেন, ‘সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের জায়গায় দলীয় অফিস বা কোনো ধরনে স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।’