× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সন্ধ্যায় দেশে এলেন মালয়েশিয়ান তরুণী, রাতে বিয়ে

সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪৪ পিএম

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৯:১৩ পিএম

বিয়ের পর সুয়াইলা বিনতে আব্দুর রহমান ও শামীম হোসেন। প্রবা ফটো

বিয়ের পর সুয়াইলা বিনতে আব্দুর রহমান ও শামীম হোসেন। প্রবা ফটো

দীর্ঘ তিন বছর প্রেমের সম্পর্কের পর ঘর বাঁধার আশায় ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এসেছেন এক মালয়েশিয়ান তরুণী। রবিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর রাতেই ঢাকার একটি হোটেলে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

বাংলাদেশি যুবক শামীম হোসেন উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ খারদিয়া গ্রামের মহিউদ্দিন শেখের ছেলে। মালয়েশিয়ান তরুণী সুয়াইলা বিনতে আব্দুর রহমান মালয়েশিয়ায় একটি রেস্তোরাঁর কর্মচারী।

জানা গেছে, সুয়াইলার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। চার বছর আগে প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেন। অপরদিকে শামীম হোসেন পাঁচ বছর ধরে মালয়েশিয়াপ্রবাসী। তিন বছর আগে সুয়াইলা অনলাইনে ফুলের ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রে তাদের পরিচয়। পরিচয় থেকে প্রেম এরপর ঘর বাঁধার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নপূরণের জন্য মালয়েশিয়া থেকে সুয়াইলা বাংলাদেশে আসেন।

এদিকে বিয়ের পর নববধূ সেজে রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে যান ওই তরুণী। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বরণ করে নেন। নববধূকে একনজর দেখতে শত শত গ্রামবাসী ভিড় জমায় শামীমের বাড়িতে।

এ বিষয়ে শামীম হোসেন বলেন, ‘আমি কন্সট্রাকশনের ভিসায় যাই। ওই দেশের আইনে মালয়েশিয়ার নাগরিককে বিয়ে করা নিষিদ্ধ থাকায় বিয়ে করতে পারিনি। শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনছিলাম। তিন বছর ধরে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক। আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হলে গত ডিসেম্বরে আমি দেশে চলে আসি। ওর সঙ্গে আমার প্রতিনিয়ত কথা হতো। সুয়াইলা অবশেষে বাংলাদেশ এসে ঘর বাঁধতে রাজি হয়। তার পরিবারের সঙ্গে অনেক সংগ্রামের মাধ্যমে সবাইকে রাজি করে বাংলাদেশে চলে আসে সুয়াইলা। রাতেই তার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। হয়তো এখন ধুমধাম করেই বাকি কাজটুকু সারা হবে।’

সুয়াইলা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের তথা শ্বশুরবাড়ির মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ। ঘর বাঁধতে এক মাসের ছুটি নিয়ে শামীমের কাছে ছুটে এসেছি। আমি খুব খুশি।’

এদিকে ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ মুন্সী বলেন, ‘শুনেছি মালয়েশিয়ান একটি মেয়ে আমার ইউনিয়নের ছেলেকে বিয়ে করতে চলে এসেছে। আমি ওদের বিষয়ে কোনো সহযোগিতা লাগলে অবশ্যই করব।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা