নওগাঁ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪ ২০:১২ পিএম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪ ২০:২১ পিএম
ধামইরহাটে গৃহবধূ মহসিনা খাতুন ওরফে আয়না হত্যা মামলার আসামি নুরুল আমিন ওরফে এরশাদ ও শাকিল হোসেন। প্রবা ফটো
নওগাঁর ধামইরহাটে গৃহবধূ মহসিনা খাতুন ওরফে আয়না হত্যা মামলার আসামি মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে ঢাকা জেলার আদাবর থানার সুনিবির হাউজিং এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাবের যৌথ বাহিনী।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়। এদিন বিকালেই আসামিদের ধামইরহাট থানায় সোপর্দ করে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ধামইরহাট উপজেলার বিহারী নগর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে ও নিহতের স্বামী নুরুল আমিন ওরফে এরশাদ, দেবর শাকিল হোসেন এবং শাশুড়ি আমেনা বেগম। তারা সকলেই ওই গৃহবধূ হত্যা মামলার পলাতক আসামি।
রাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি বছরের ১২ মার্চ ভোরে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের বিহারীনগর গ্রামের নরুল আমিন ওরফে এরশাদের স্ত্রী মহসিনা খাতুন ওরফে আয়নাকে বাড়ির পূর্ব পাশে একটি আমগাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, মৃত আয়না আক্তারের সঙ্গে শাশুড়ি, স্বামী ও দেবরের সঙ্গে প্রায়ই বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা, সোফা সেট, আলমারি, খাট ইত্যাদি আনার জন্য বিরোধ লেগেই থাকত। এই বিরোধের জের ধরে তাকে মারপিট করে শ্বাসরোধে মেরে ফেলে বসতবাড়ির আমগাছে গলায় রশি প্যাঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
মৃতের চাচা আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় আয়নাকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ি আমেনা, স্বামী এরশাদ, দেবর শাকিল এবং আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ-এর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা ধামইরহাট উপজেলার গোপিরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিদ্যুৎকে গ্রেপ্তার করে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। পরবর্তীতে র্যাব-২, সিপিসি-১-এর সহায়তায় আমেনা, এরশাদ ও শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।