মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট
মৌলভীবাজার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৪ ১২:২৪ পিএম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৫:২০ পিএম
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের বারান্দায় সোনিয়া সুলতানার মরদেহ। প্রবা ফটো
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বসত ঘরের টিনের চালের ওপরে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-বাবা, এক ভাই ও দুই বোনের পর শিশু সোনিয়া সুলতানাও মারা গেছে। বুধবার (২৭ মার্চ) ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সে মারা যায়।
নিহতের মামা আব্দুল আজিজ সোনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর আজ ভোর ৪টার দিকে সে মারা যায়। বর্তমানে মরদেহ নিয়ে ঢাকা থেকে জুড়ীর পথে রয়েছেন তিনি। জানাজা শেষে পরিবারের পাঁচ সদস্যের কবরের পাশে সোনিয়াকে সমাহিত করা হবে।
ঢাকায় সোনিয়ার চিকিৎসার পুরো ব্যবস্থা করেছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ফয়জুলের পরিবারের একমাত্র জীবিত গুরুতর আহত সোনিয়াকে সিলেট থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসি। আজ ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু ও একজন গুরুতর আহত হয়।
ঘটনাস্থলে নিহতরা হলেন ফয়জুর রহমান, তার স্ত্রী শিরি বেগম, তাদের ১৬ বছর বয়সি বড় মেয়ে সামিয়া, ১৩ বছর বয়সি মেঝো মেয়ে সাবিনা ও ৮ বছর বয়সি ছেলে সায়েম উদ্দিন।
অবশেষে সবার ছোট সর্বশেষ জীবিত সদস্য ও গুরুতর আহত ৭ বছর বয়সি সোনিয়াও পরিবারের বাকি সদস্যদের সহযাত্রী হলো। সোনিয়া উপজেলার গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাকপ্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমান পেশায় ঠেলাগাড়িচালক। পরিবারের ছয় সদস্য নিয়ে একটি দুই কক্ষের টিনের ঘরে বসবাস করতেন। ঘরের ওপর দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টেজ ক্ষমতাসম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন বহমান। মঙ্গলবার ভোরে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টিতে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে ঘরের টিনের চালে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বেঁচে থাকা একমাত্র সদস্য ফয়জুরের ছোট মেয়ে সোনিয়াও আজ মৃত্যুবরণ করল।