কুমিল্লা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৬:৫০ পিএম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৭:৩৬ পিএম
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। প্রবা ফটো
কুমিল্লার হোমনায় বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সৌদি প্রবাসী মো. আবদুল জলিলকে হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৭ মার্চ) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কারার কান্দি গ্রামের মো. কুদ্দুস মিয়া, মঙ্গলকান্দি গ্রামের আবদুল খালেক, মো. রাজিব ও নিহতের স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগম। তারা সবাই পলাতক রয়েছেন।
খালাস পাওয়া মো. শাহ জাহান হোমনা উপজেলার গোয়ারী ভাঙা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হোমনা কাঁচা বাজারে পাইপ, ফিল্টার, টিউবওয়েলের ব্যবসা করতেন। রায়ের সময় শুধু তিনিই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি মো. শাহ জাহানের সঙ্গে নিহতের স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগমের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ করা হয়। এর জের ধরে আসামিরা ২০১৩ সালে সৌদি প্রবাসী জলিলকে ঢাকায় চিকিৎসার কথা বলে হোমনা উপজেলার বাহেরখোলা এলাকায় গলা কেটে হত্যা করে। পরে নিহতের ছোট ভাই তাইজুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আব্দুল আল বাকী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি কুদ্দুছ, আবদুল খালেক, রাজিব ও মূল পরিকল্পনাকারী নিহতের স্ত্রী শাহনেওয়াজকে গ্রেপ্তার করেন। পরে ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামি রাজিব, শাহনেওয়াজ ও আবদুল খালেকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে রায় দেন আদালত। অপর দিকে শাহ জাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আদালতে শাহ জাহান উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মো. আবু ইউসুফ বলেন, ‘আমরা আশা করছি উচ্চ আদালতেও এ রায় বহাল রেখে দ্রুত রায় বাস্তবায়ন করবেন।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আ হ ম তাইফুর আলম বলেন, ‘রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’