থেমে থেমে ভারী বিস্ফোরণের শব্দ টেকনাফে

কক্সবাজারে শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্ট মার্টিনের বিপরীতে মিয়ানমারে থেমে থেমে ভারী বিস্ফোরণের শব্দ হচ্ছে। এতে কেঁপে কেঁপে উঠছে শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্ট মার্টিনের বিভিন্ন এলাকা। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১টা পর্যন্ত থেমে থেমে ভারী বিস্ফোরণ হয়েছে। এর আগে কয়েক দিন ধরে টেকনাফের হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিপরীতে মিয়ানমারের মংডু শহরের উত্তর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

সীমান্ত এলাকার লোকজন জানান, মিয়ানমারের ওই এলাকায় দুটি গ্রাম হাস্যুরাতা ও নাখ্যংদিয়া থেকে এই বিস্ফোরণের শব্দ আসছে। নতুন করে ওই এলাকায়ও সংঘাত ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির রাখাইন প্রদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত তীব্রতর হয়েছে।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ১টা পর্যন্ত মংডু শহরের উত্তরে নাকফুরা, বলিবাজার এবং দক্ষিণে হাস্যুরাতা ও নাইক্ষ্যংদিয়ায় আরাকান আর্মি ও সে দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই হয়। সীমান্তের ওই এলাকায় মঙ্গলবার রাতে অর্ধশতের বেশি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সেন্ট মার্টিন, টেকনাফ সীমান্তের শাহপরীরদ্বীপ, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী, ঝিমংখালী, হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার, ওয়াব্রাং, পুরানবাজার, ফুলের ডেইল, চৌধুরীপাড়াসহ অন্তত ১৩টি গ্রামে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামাল বলেন, মিয়ানমারে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে সংঘাত চললেও এত দিন সেন্ট মার্টিনের মানুষ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায়নি। মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত থেমে থেমে ২০-২৫টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ শুনতে পান দ্বীপের মানুষ।

মিয়ানমার সংঘাতের কারণে সে দেশের রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, সীমান্তের পরিস্থিতির কারণে নতুন করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।