টঙ্গী (গাজীপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৪ ২২:৩৫ পিএম
নির্যাতনের শিকার জিসাদ আহম্মেদ জয়। প্রবা ফটো
গাজীপুর মহানগরীর গাছা এলাকায় এক যুবককে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ওই যুবকের বাবা মো. মুঞ্জিল মিয়া। নির্যাতনের শিকার যুবকের নাম জিসাদ আহম্মেদ জয়। মহানগরীর গাছা থানার উত্তর খাইলকুর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে সে। সে একটি বেসরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মুঞ্জিল আহমেদ। তবে ঘটনাটি গতকাল রবিবার জানাজানি হয়। অভিযুক্তরা হলেনÑ মো. নিযুম, মো. সিয়াম, মো. হিমেল, মো. রাতুল, মো. মোবারক, মো. আল আমিন ও মো. তানভীর। এ ছাড়া অজ্ঞাত ১৫-১৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তরা গাছা থানার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযুক্ত নিযুম জিসাদকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে আরও ১৫-১৭ জন এসে তাকে জোরপূর্বক মৈরান এলাকায় নিয়ে যায়। কোনো কারণ ছাড়াই সবাই তাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এমনকি তাকে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। আইনের আশ্রয় নিলে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
জিসাদ আহমেদ জয় বলে, ‘গত বৃহস্পতিবার আমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে অত্যাচার করেছে। বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেছে। এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাস করায় ও সমবয়সি হওয়ায় মাঝেমধ্যে তাদের সঙ্গে কথা হতো। এর আগে গত ২২ মার্চ আমাকে তারা ডেকে নেয়। সিগারেট কিনে না দেওয়ায় সেদিনও আমাকে মারধর করে। আমি তাদের পায়ে ধরে আকুতি-মিনতি করার পর মিথ্যা তথ্য স্বীকার করিয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরে কিল-ঘুসি, লাথি মেরে ছেড়ে দেয়।’
মুঞ্জিল আহমেদ মুরাদ বলেন, ‘আমি খুব গরিব। খেয়ে, না খেয়ে কষ্ট করে ছেলের পড়ালেখা করাচ্ছি। কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ছেলেকে এমন নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেছে। আমি জঘন্যতম কর্মকাণ্ডের বিচার দাবি করছি। এ ছাড়া অভিযোগের পর আসামিপক্ষের লোকজন ফোনে, এমনকি বাসায় এসে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় পরিবার নিয়ে খুব আতঙ্কে আছি।’
অভিযোগের বিষয় জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে গাছা থানার ওসি মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’