ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ২২:০২ পিএম
গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির।
অস্ত্রের মুখে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরকে মহিলা কলেজের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি জেলার ভূঞাপুর উপজেলার পৌরশহরের লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কজেলের সদ্য সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন। বড় মনি টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব।
সোমবার (১ এপ্রিল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে কলেজের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করার কথা জানায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম রব্বানী রতন বিষয়টি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।
বড় মনিরের জায়গায় ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমানকে সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক আতাউর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানানো হয়। এর আগে আরেকটি ধর্ষণ মামলা থাকার মধ্যেই বড় মনিরকে কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তার ছোট ভাই টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির অনুরোধে তাকে কলেজের সভাপতির পদে বসানো হয়।
কলেজের সভাপতি হিসেবে নিয়োগের দুই সপ্তাহ পর গত ২৯ মার্চ তুরাগ থানার প্রিয়াঙ্কা সিটি আবাসিক এলাকায় বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে এক কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তাকে অস্ত্রের মুখে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় বড় মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই কলেজছাত্রী। ওই দিন রাতে ৯৯৯ নম্বর থেকে আসা একটি ফোন কলের সূত্র ধরে বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বড় মনি। পরে তার বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় ধর্ষণ মামলা করা হয়। এ অভিযোগের বিষয়ে গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বড় মনির টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনিরের বড় ভাই। ছোট মনিরের অনুরোধে ভড় মনিরকে ওই কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির পদে দেওয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।