মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ২২:১২ পিএম
মিঠাপুকুর থানা। প্রবা ফটো
রংপুরের মিঠাপুকুরে ‘তদন্ত ছাড়াই সাজানো মামলায়’ দুই সহোদরকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং বাদির বিরুদ্ধে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে ভুক্তভোগীরা রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি, রংপুর জেলা পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ- মিঠাপুকুর উপজেলার ২ নম্বর রানীপুকুর ইউনিয়নের বলদিপুকুর তাজনগরে তাদের গ্রামের বাড়ির চলাচলের রাস্তা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রতিবেশী মোঃ শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। গত ১২ মার্চ এ বিষয়ে তর্কাতর্কি হলে রানীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু ফরহাদ পুটু এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান হয়। কিন্তু বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান হওয়ার পরেও শাহাদাত আলী এবং তার আইনজীবী ছেলে রংপুর আদালতে একটি মিস পিটিশন করেন।
গত ১৯ মার্চ মধ্যরাতে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এবং রানীপুকুর ইউনিয়ন বিট অফিসার, মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ছাদেক আলীর বাড়ি ঘেরাও করে ছাদেক আলীর ছেলে ইটভাটা শ্রমিক নজরুল এবং নুর মোহাম্মাদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ তাদের নিয়ে যাওয়ার সময় ছাদেক আলীসহ অন্য চার আসামিকে বলে যায়, মানবিক কারণে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হলোনা। আসামিদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করার পর মামলা করে আদালতে পাঠিয়েছেন।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ১৩ মার্চ আসামিরা মামলার বাদী শাহাদাত আলীকে তার সার এবং কীটনাশক দোকানে যাওয়ার পথে পথরোধ করে মারপিট করে কোমর এবং পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে ফেলেন এবং মারাত্মক জখম করেন। এমনকি বিবাদীরা তার পকেট থেকে ব্যবসার ৭৫০০০ টাকা জোরপূর্বক কেঁড়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামালকে ঘটনার বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘আমি সবেমাত্র নতুন যোগদান করেছি। আগের ওসি মামলাটি নিয়েছিলেন। তবে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।’
এ বিষয়ে এএসপি (ডি-সার্কেল) আবু হাসান মিয়া বলেন, ‘একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।’