হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৪৬ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১১ এএম
বিক্রির জন্য চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের একটি আড়তে মজুদ পেঁয়াজ। প্রবা ফটো
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আবারও কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহ আগে খাতুনগঞ্জে যে পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, সোমবার (১ এপ্রিল) সেই দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে অন্তত ২০ টাকা।
খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা বলছেন, এখন বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ অনেক বেশি। তাই বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম কমছে। তবে ভোক্তাদের দাবি, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবরে লোকসানের ভয়ে দাম কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবর এলেই খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। আবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি করবে না ঘোষণা করলেই দাম বেড়ে যায়। এটি প্রমাণ করে, ব্যবসায়ীরা কারসাজি করেই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন। তাই সরকারকে ব্যবসায়ীদের এই কারসাজি বন্ধে কাজ করতে হবে। কারসাজি বন্ধ না হলে বাজার স্থিতিশীল হবে না।’
গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়ার পর খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। তখন এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা দাম কমে। গত ১৮ মার্চ খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়। এরপর ২৩ মার্চ ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুনরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর খাতুনগঞ্জে আবারও পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। ২-৩ দিনের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম আবার বেড়ে যায়। গত ২৫ মার্চ খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবরে এখন আবারও খাতুনগঞ্জে দাম কমতে শুরু করেছে।
খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন পেঁয়াজের আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন দিনের ব্যবধানে এখন কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে অন্তত ২০ টাকা। গত বৃহস্পতিবার খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। সেই পেঁয়াজ সোমবার বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বাজারে এখন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। বিপরীতে চাহিদা কম থাকায় পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী। তাই এখন বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে। বাজারে এখন যে দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, এর চেয়ে কমে বিক্রির সুযোগ নেই। সরবরাহ ঠিক থাকলে সামনেও পেঁয়াজের দাম এমনই থাকবে।’
এদিকে পাইকারিতে দাম কমে যাওয়া এখন খুচরা পর্যায়েও পেঁয়াজের দাম কমেছে। ভ্যানগাড়িতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর মুদি দোকানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা দরে।