সাতক্ষীরা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৫৭ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪৪ পিএম
আশাশুনিতে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে বাক্সে ও আলমারিতে রাখা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করা হয়েছে। প্রবা ফটো
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে দুই পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে ১০ ভরি স্বর্ণ, নগদ আড়াই লাখ টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
আনুলিয়া গ্রামের সাইফুল্লাহ গাজী ও সঞ্জীব মিত্রের বাড়িতে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করা হয়। দুই পরিবারের তিন সদস্য এখনও অজ্ঞান রয়েছে।
সাইফুল্লাহ গাজীর স্ত্রী মুসলিমা খাতুন বলেন, সোমবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। রাতের কোনো এক সময়ে চোরেরা ঘরের জানালা দিয়ে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় বাক্সে ও আলমারিতে রাখা পাঁচটি স্বর্ণের রুলি, তিন জোড়া সোনার দুল, তিনটি সোনার চেন, তিন পিস নাকফুলসহ দশ ভরি সোনার অলংকার ও গরু বিক্রয়ের নগদ দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ভোরে পাশের বাড়ির লোক সেহরি খাওয়ার জন্য ডাকলে দেখি দরজা খুলা। সবকিছু নিয়ে পালিয়ে গেছে চোর। আমার শাশুড়ি এখনও অচেতন রয়েছেন।
একই গ্রামের সঞ্জীব মিত্র জানান, সাইফুল্লাহ গাজীর বাড়ি থেকে সর্বস্ব লুটে নেওয়ার পর আমার বাড়িতে এসে স্প্রে করে চোরেরা। এ সময় আমার ঘরে প্রবেশ করে বাক্স ও আলমারি খোলার শব্দ পেয়ে স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায়। তখন চোররা পালিয়ে যায়। এরপর থেকে স্ত্রী জয়া ও শাশুড়ি অর্পনা রানী গভীর ঘুমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
আনুলিয়া ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন গাজী জানান, এলাকায় চরমভাবে অজ্ঞান পার্টির সদস্য বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহ আগে পশের খাজরা ইউনিয়নের কাপসন্ডা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান ও চেউটিয়া গ্রামের গোলাম মাওলানার বাড়িতে একই কৌশল অবলম্বন করে লাখ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে গেছে চোরেরা। শুধু তাই নয় একাধিক দোকানপাটে লুটপাট করার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এসব ঘটনার পরও একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ। ফলে এলাকায় চোর আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী বলেন, ‘আনুলিয়া ইউনিয়নের অজ্ঞান পার্টির কবলে সর্বস্ব লুটের ঘটনার কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে খাজরা ইউনিয়নের প্রতিটি ঘটনার পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। ওইসব এলাকা চিহ্নিত করে রাতে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। অপরিচিত লোক রাতে ঘোরাফেরা করলে পুলিশকে খবর দেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে।’