বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ২১:১৫ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ২১:২৮ পিএম
বগুড়া শহরে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথার এমএ খান লেনের এ বাণিজ্যিক কেন্দ্রের ষষ্ঠ তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আটটি ইউনিট তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর ১টার দিকে ভবনটির ষষ্ঠ তলায় হঠাৎ আগুনের ধোঁয়া দেখা যায়। মার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা দ্রুত ভবন থেকে বেরিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যান। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলে ফায়ার সার্ভিস আসে।
ব্যবসায়ীরা জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় মেরিনা সিনেমা হল ভেঙে দুই দশক আগে বহুতল এ বাণিজ্যিক মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়। মার্কেটজুড়ে ইলেকট্রনিক পণ্য ও ওষুধের পাইকারি দোকান। ষষ্ঠ তলায় ২০টি ওষুধের দোকান। এর মধ্যে একটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে আর ১৯টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে তাদের দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পাওয়ামাত্র আমাদের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসি। পর্যায়ক্রমে শাজাহানপুর, কাহালু, গাবতলী ও শেরপুরের চারটি ইউনিট যুক্ত হয়। পরে দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মূলত ষষ্ঠ তলায় ওষুধের ২০টি দোকান ছিল। অভি মেডিকেলের গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত। সেখানকার সকল মালামাল পুড়ে গেছে। এ ছাড়া অন্য ১৯টি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ তদন্তের পর বলা যাবে।’
অভি মেডিকেলের মালিক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আগুনে ৪০-৫০ লাখ টাকার ওষুধ পুড়ে গেছে। আশপাশের দোকানের ওষুধও পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। কিন্তু আগুন নির্বাপণের যে পাইপ ছিল, সেই পাইপ দিয়ে পানি আসেনি। পরে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই।’
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মতিউর রহমান বলেন, ‘ষষ্ঠ তলার আগুনে আমাদের সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’