কিশোরীকে স্ত্রী দাবি
চাঁদপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১২:১০ পিএম
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:১০ পিএম
গুরুতর আহত অবস্থায় সুমন গাজীকে হাসপাতালে নেওয়ার সময়। প্রবা ফটো
কিশোরীকে স্ত্রী দাবি করে পেটে ছুরিকাঘাত করে সুমন গাজী নামে এক যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) চাঁদপুর সদর মডেল থানায় এ ঘটনা ঘটে।
চাঁদপুর সদর সার্কেল ইয়াছিন আরাফাত প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত সুমন গাজীকে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কুমিল্লা পাঠালে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই ঢাকায় রেফার করা হয়।
ইয়াছিন আরাফাত জানান, গত ২৪ মার্চ রাতে মমিন গাজী নামে এক ব্যক্তির মেয়ে নিখোঁজ হয়। তার মেয়ে রঘুনাথপুর হাজী এ করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তিনি ১ এপ্রিল চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদুপর পুলিশ তদন্তে নামে এবং কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশের উপপরিদর্শক আবদুল আলিম মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ব্যাংক কলোনিতে সুমন গাজীর ভাড়া বাসা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় ছেলের মামাকে আটক করা হয়। পরে থানা পুলিশ বিকালে মাকে আটকে রেখে মামাকে ছেড়ে দেয়। মাকে আটক রাখার পর সন্ধ্যায় সুমন গাজী পুলিশের ডাকে থানায় হাজির হয়। পরে থানায় উপস্থিত সবার সামনে উদ্ধার হওয়া কিশোরীকে তার স্ত্রী দাবি করেন এবং তার নতুন বউকে কেন থানায় নেওয়া হয়েছে বলে উত্তেজিত হয়ে সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করেন।
সুমন গাজীর বোন জানান, থানায় ডেকে নিয়ে তার ভাইকে একটি থাপ্পড় দেয় পুলিশের এক কর্মকর্তা। তার পরই সুমন পেটে ছুরিকাঘাত করে। ওই কিশোরীর সঙ্গে শুক্রবার বিয়ে হয় বলে দাবি তার।
চাঁদপুর সদর সার্কেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘সুমন গাজীর বিরুদ্ধে এখনও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একটি ঘটনার ভেতর আরেকটি ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার তদন্ত কাজ শেষ হলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’