ধামরাই (ঢাকা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:০৬ পিএম
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩৮ পিএম
এক মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করেন পোশাক শ্রমিকরা। বুধবার সকালে ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের কাউন্সিল বাজার এলাকায় ওডিসি ক্রাফট প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার সামনে। প্রবা ফটো
ঢাকার ধামরাইয়ে ওডিসি ক্রাফট প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানা শ্রমিক ও স্টাফদের ঈদের বেতন-বোনাস না দিয়ে বিনা নোটিসে বন্ধ ঘোষণা করেছে। মার্চ মাসের বেতন ও ঈদুল ফিতরের বোনাস ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বুধবার সকালে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন কারখানাটির শ্রমিকরা।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের কাউন্সিল বাজার এলাকায় ওই কারখানায় এ বিক্ষোভ হয়।
শ্রমিকদের অভিযোগ, ঈদের বেতন-বোনাস দেওয়ার একদিন আগে বুধবার কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এ জন্য কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সকাল থেকে তারা বিক্ষোভ করেন। পরবর্তীতে শ্রমিকদের বুঝিয়ে কারখানার সামনে থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
শ্রমিকরা জানান, আগের দিন মঙ্গলবার তারা কাজ করেন। সেদিন স্টাফদের বেতন-বোনাস দেওয়ার কথা হলেও তা না দেওয়ায় স্টাফরা অফিসের ভেতরে কর্মবিরতি পালন করেন। অন্যদিকে শ্রমিকরা নিজেদের কাজ শেষে চলে যায়। বুধবার সকালে তারা কাজে গেলে তাদের কারখানায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শ্রমিকদের জানানো হয়, বুধবার কারখানা বন্ধ। খুলবে বৃহস্পতিবার। এদিনই তাদের ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা রয়েছে।
কিন্তু এক মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়ার আগের দিন কারখানা বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই তারা বুধবার সকালে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান। দাবি না মানায় শ্রমিকরা জোরপূর্বক কারখানার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে কারখানার সামনেই বিক্ষোভ করেন তারা।
একজন শ্রমিক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, মঙ্গলবার স্টাফদের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। তা দেওয়া হয়নি। বুধবার শ্রমিকরা কারখানায় গেলে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে ওডিসি ক্রাফট লিমিটেডের এইচআর অ্যাডমিন ম্যানেজার নুরুল ইসলামকে কল দেওয়া হলেও তিনি কল ধরেননি।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার রাশেদুল বারি বলেন, শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেতন দিতে পারে নাই কর্তৃপক্ষ। এজন্য মালিকপক্ষ আজকের জন্য কারখানা বন্ধ রেখেছে। কিন্তু শ্রমিকরা কারখানায় এসে ‘হামলা’ করেছে। আমরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে কারখানার সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সচেষ্ট আছি।