মাদারীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ২০:০৫ পিএম
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩১ পিএম
দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সওজ। প্রবা ফটো
মাদারীপুরে আসন্ন ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও যানজট নিরসনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ২৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত মহাসড়কের টেকেরহাট সেতুর উভয় পাশে অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর এবং হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, মহাসড়কটি যানজটমুক্ত, সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও পবিত্র রমজান মাসে মানুষের কেনাকাটার সুবিধার্থে টেকেরহাট বন্দরে অভিযান চালায় প্রশাসন। এ সময় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের টেকেরহাট সেতুর উভয় পাশে অন্তত ৬০০ মিটার এলাকায় অভিযান চালিয়ে সবজি দোকান, ফলের দোকান, মিষ্টির দোকান, মাংসের দোকান, হোটেল ও রেস্তোরাঁ, ইট-বালুর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ২৫০টির বেশি স্থাপনা এবং ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাজৈর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুর ইসলাম। সওজ মাদারীপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মোতাহার হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী শামীম হোসেন, মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মারুফ রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঈদের আগে এমন উচ্ছেদে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, মাত্র এক ঘণ্টার নোটিসে তাদের স্থাপনা অনত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেয় সওজ। ফল ব্যবসায়ী সুমন শেখ বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। এখানে দোকান কইরা খাই। আর গরিবের ওপর সরকারের যত সমস্যা। দোকানডা গুঁড়াইয়া দিছে। আমাগো ঈদ শেষ কইরা দিছে।’
সবজি বিক্রেতা সাইদুর রহমান বলেন, ‘মানছি আমাগো দোকান অবৈধ। ছোটখাটো ব্যবসা কইরা খাই। চুরি তো আর করছি না। গরিবের পেটে লাথি দিয়া দোকানটা ভেঙেচুরে দিছে। বিকল্প কিছু করার সময়টাও ওরা দেয় নাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সওজ মাদারীপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন বলেন, ‘ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের টেকেরহাট সেতুর দুই পাশে সড়কে দীর্ঘদিন ধরে ছোট-বড় অসংখ্য দোকানপাট গড়ে উঠেছিল। এসব ভাসমান দোকানের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা, যানজট ও পথচারীদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। দোকানিদের একাধিকবার নোটিস করা হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। অবৈধ স্থাপনা রোধে আমাদের এ অভিযান নিয়মিত চলমান থাকবে।’
মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মারুফ রহমান বলেন, ‘উচ্ছেদের সময় দোকানিদের সতর্ক করা হয়েছে। তারা যদি পুনরায় মহাসড়কে বাধা সৃষ্টি করে দোকানপাট নির্মাণ করে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানতে চাইলে রাজৈর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুর ইসলাম বলেন, ‘আসন্ন ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধ, যানজট নিরসন ও পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদের আগে একাধিকবার নোটিস করার পরও তারা স্থান ত্যাগ করেনি। তাই উচ্ছেদ ছাড়া বিকল্প কিছু করার ছিল না।’