× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সন্দ্বীপের ৬০ মৌজার সীমানা নির্ধারণ জরুরি

মাহফুজুর রহমান মিতা

প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১০:০০ এএম

আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪৮ পিএম

 সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা। ছবি : সংগৃহীত

সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ। মূল ভূখণ্ড থেকে দূরে সাগরের বুকে অবস্থিত এ অঞ্চলের যোগাযোগ, পর্যটন, সীমানা, নতুন শিল্পায়নসহ নানান সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা

প্রবা : সন্দ্বীপে নতুন চরে শিল্পায়ন নাকি ভাঙনের শিকার মানুষের পুনর্বাসন? কোন বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেবেন? 

মাহফুজুর রহমান মিতা : সন্দ্বীপে নদীভাঙনের অনেক মানুষ আছে। তারা আশায় বুক বেঁধেছে, ভূমি উদ্ধার হলে বাপ-দাদার ভিটায় ফিরতে পারবে। আমাদের চেষ্টা থাকবে ভূমিহীনদের যাদের প্রয়োজনীয় দলিল-খতিয়ান আছে, তাদের ভূমি ফিরিয়ে দেওয়া। তবে পুরো বিষয়টি সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভাঙনের শিকার মানুষের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা আমার কতর্ব্য। পাশাপাশি কৃষি ও শিল্পের সম্ভাবনাও কাজে লাগাতে হবে। সন্দ্বীপবাসীর জীবন-জীবিকার উন্নয়নের স্বার্থেই কৃষি ও শিল্প সম্প্রসারণ দরকার। এরই মধ্যে সরকার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) শিল্পজোন করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। ভবিষ্যতে বেজার মাধ্যমে শিল্পায়ন হলে সন্দ্বীপের সবকিছুতেই আমূল পরিবর্তন আসবে। 

প্রবা : সন্দ্বীপের পর্যটন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কী ধরনের উদ্যোগ নেবেন? 

মাহফুজুর রহমান মিতা : সন্দ্বীপ বঙ্গোপসাগরের বুকে অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। প্রতিবছর হাজারো পর্যটক আসে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এখানে বেসরকারিভাবে কয়েকটি রিসোর্ট হয়েছে। তবে সরকারিভাবে পর্যটন খাতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া যায়নি। পর্যটন বিষয়ে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। 

প্রবা : সন্দ্বীপের সঙ্গে নোয়াখালী জেলার সীমানা বিরোধের বিষয়ে জাতীয় সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন। সীমানা বিরোধ কেন? 

মাহফুজুর রহমান মিতা : ১৯৫৪ সালে ৬০ মৌজা নিয়ে নোয়াখালী থেকে আলাদা হয়ে চট্টগ্রাম জেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল সন্দ্বীপ। সেই সময় ৬০ মৌজার সীমানা নির্ধারণ হয়নি। এই জটিলতার কারণে সন্দ্বীপের উড়িরচর ইউনিয়নে ১৭ বছর ধরে নির্বাচন হয় না। এ ছাড়া যে দ্বীপকে এখন ভাসানচর বলা হচ্ছে, সেটি সন্দ্বীপের সাবেক ন্যায়মস্তি ইউনিয়ন। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের অস্তিত্ব ছিল। এরপর ভেঙে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার চর জেগে ওঠে। নতুন চর জাগার পর ১৯৫৪ সালের আগের মৌজা ধরে ওই চরকে তথা সন্দ্বীপের ন্যায়মস্তি ইউনিয়নের ভূমি নোয়াখালীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সন্দ্বীপের সীমানায় নতুন চর জেগে উঠলেই সেগুলো নোয়াখালীর অংশ হিসেবে রেকর্ড করা হচ্ছে। নতুন চর জাগলে সেগুলো যেন সন্দ্বীপের নামে রেকর্ড হয়, সেজন্য ৬০ মৌজার সীমানা নির্ধারণ প্রয়োজন। 

প্রবা : যাতায়াত দুর্ভোগের বিষয়ে আপনি জেলা পরিষদকে দায়ী করেন। দুর্ভোগের শিকার মানুষ আন্দোলন করল, কিন্তু সুফল পেল না। এর কারণ কী? 

মাহফুজুর রহমান মিতা : এখানে মামলাসংক্রান্ত জটিলতাই মূল সমস্যা। ঘাটের কর্তৃত্ব নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর বিরোধ আছে। সমাধানের উদ্যোগে নেওয়া সিদ্ধান্ত জেলা পরিষদের বিপক্ষে গেলেই তারা মামলা করে এবং আদালতের মাধ্যমে তা স্থগিত করে। জেলা পরিষদ ইজারা বাবদ বড় অংকের টাকা নিয়েও দ্বীপবাসীকে সেবা দিচ্ছে না। এই জটিলতা এড়াতে নতুন পরিকল্পনা করছি। আমরা চাই, সন্দ্বীপ ঘাট জেলা পরিষদ থেকে বের হয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে যাতায়াত পরিচালিত হবে। এর মাধ্যমে শিগগিরই দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছি। 

প্রবা : এসব সমস্যার সমাধানে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কি?

মাহফুজুর রহমান মিতা : বিআইডব্লিউটিএর অধীনে একাধিক ইজারাদার নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি জাহাজসহ সব নৌযান যাতে সরাসরি জেটি থেকে যাত্রী ওঠানামা করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী সন্দ্বীপবাসীকে একটি বড় প্রকল্প উপহার দিয়েছেন। প্রায় ৩০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের আওতায় গাছুয়া ঘাট দিয়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার একটি জেটি নির্মিত হবে। জেটির দেড় কিলোমিটার থাকবে তীর অংশে, বাকি দুই কিলোমিটার সাগরে। আগামী দুই বছরের মধ্যেই নতুন জেটির কাজ শেষ হবে। গুপ্তছড়া ঘাটের জেটি নিয়েও কাজ করছি। চট্টগ্রাম অংশের জেটি সাগরের দিকে আরও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সন্দ্বীপ অংশেও সম্প্রসারণ করা হবে। দক্ষিণ সন্দ্বীপের মানুষের জন্য ছোয়াখালী খালটি খনন করে ঘাটটি চালু করতে চাই। 

প্রবা : সন্দ্বীপে আধুনিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাই। 

মাহফুজুর রহমান মিতা : সন্দ্বীপের ৩০ শয্যার হাসপাতাল ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে। নতুন আধুনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মিত হয়েছে। এখন ১৭ জন ডাক্তার এবং পর্যাপ্ত নার্স আছে। আগে বিদ্যুৎ ছিল না, এখন বিদ্যুৎ আছে। এখানে প্রধান সমস্যা প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব। চিকিৎসকরাও দ্বীপ উপজেলায় থাকতে চান না। এমন কিছু সমস্যা আছে। নদীপথের কারণে জটিল রোগীদের শহরে নিয়ে যাওয়া কঠিন। আবহাওয়া একটু বিরূপ হলেই কিংবা সন্ধ্যার পর রোগীদের শহরে নিয়ে যাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য একটি সি-অ্যাম্বুলেন্সের জন্য চেষ্টা করছি। এটার ব্যবস্থা হলে সংকট অনেক কমবে। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা