প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:১২ পিএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৫৩ পিএম
স্বর্ণদ্বীপ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ইয়ুথ গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট আকবর হায়দার মুন্না। ছবি : সংগৃহীত
সন্দ্বীপের জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবায় সরকারের পাশাপাশি আছে বেসরকারি উদ্যোগ। তেমনি একটি অনন্য উদ্যোগ স্বর্ণদ্বীপ ফাউন্ডেশন হাসপাতাল। ব্যক্তিপ্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা এ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ, গাইনি বিভাগসহ আছে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ। প্রতিদিন গড়ে সেবা পাচ্ছে শতাধিক মানুষ। অভিজ্ঞ লোকবলের অভাব থাকলেও আন্তরিকতার অভাব নেই। হাসপাতাল প্রসঙ্গে কথা বলেছেন স্বর্ণদ্বীপ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ইয়ুথ গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট আকবর হায়দার মুন্না।
প্রবা : স্বাস্থ্য খাতে পিছিয়ে থাকা সন্দ্বীপে ‘স্বর্ণদ্বীপ ফাউন্ডেশন হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা করলেন, বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ ছিল কতটা?
আকবর হায়দার মুন্না : চ্যালেঞ্জ ছিল। দ্বীপ হওয়ার কারণে সব ক্ষেত্রে শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা বড় সমস্যা। একটি বড় অবকাঠামো নির্মাণ, দ্বীপ উপজেলায় ডাক্তার, নার্স, টেকনোলজিস্ট নিয়ে আসা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই করোনাকালে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হয়েছে।
প্রবা : হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য কি পূরণ হয়েছে?
আকবর হায়দার মুন্না : আমাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। স্বর্ণদ্বীপ ফাউন্ডেশন হাসপাতাল জরুরি বিভাগ, গাইনি বিভাগ ও আউটডোর থেকে গড়ে ১০০ জনের বেশি রোগীকে সেবা দিচ্ছে। প্রতি মাসে গড়ে ৫০টির বেশি নরমাল ডেলিভারি হচ্ছে। মরহুম ফিরোজ আলম ও মরহুম রেজ্জাকুল হায়দার যে স্বপ্ন নিয়ে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন, তার সুফল এখন দ্বীপবাসী পাচ্ছে। স্বর্ণদ্বীপ হাসপাতালের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এখানে কোনো রোগী আর্থিক সমস্যার কারণে চিসিৎসাসেবা বঞ্চিত হয় না।
প্রবা : প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে এখনও কী ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে?
আকবর হায়দার মুন্না : একটি দ্বীপ উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মের মধ্যে থেকে যেসব সেবা থাকা দরকার, তার সবই স্বর্ণদ্বীপ ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আছে। ইতোমধ্যে রোগীদের উন্নত সেবার লক্ষ্যে নতুন যুক্ত হয়েছে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ। ফলে চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক প্রয়োগ করতে পারছেন। বেশ কিছু সেবা যুক্ত করার ইচ্ছা থাকলেও দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হওয়ার কারণে এখনও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবুও আরও নতুন কিছু সেবা যুক্ত করার পরিকল্পনা আছে।
প্রবা : স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন?
আকবর হায়দার মুন্না : হাসপাতাল চালুর আগে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তার ও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। সবাই পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে বাস্তবে সব সময় সবাই সময় দিতে পারেন না।
প্রবা : সন্দ্বীপে বিনিয়োগের বড় ক্ষেত্র তৈরি করেছে নতুন চর। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে এই সম্ভাবনা কাজে লাগানোর বাস্তব সুযোগ দেখছেন কি?
আকবর হায়দার মুন্না : সাগরতীরে নতুন চর জেগে উঠেছে। নতুন চরে কীভাবে বিনিয়োগ করা যাবে, বিনিয়োগকারী ও ভোক্তা উভয়ের জন্যই কোন কোন খাতগুলো ভালো হবে, এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও কিছু সময় লাগবে।
প্রবা : আপনার প্রযোজনায় ‘বিদেশ’ নামক একটি নাটকের শুটিং হয়েছিল সন্দ্বীপে। ভবিষ্যতে সন্দ্বীপকে কেন্দ্র করে নাটক-সিনেমা প্রযোজনার পরিকল্পনা আছে কি?
আকবর হায়দার মুন্না : একটি গল্পের মাধ্যমে সন্দ্বীপের সৌন্দর্য এবং এখানকার জনজীবন নিয়ে জানান দিতে নাটকটি বানিয়েছিলাম। সেই কাজটি ভালোভাবেই করতে পেরেছি। বাস্তবে ঢাকা থেকে ৫০-৬০ জনের শুটিং ইউনিট নিয়ে সন্দ্বীপে এসে নাটক বানানো কঠিন কাজ এবং ব্যয়সাপেক্ষ। তারপরও ভবিষ্যতে ভালো গল্প নিয়ে কিছু করার পরিকল্পনা আছে।