× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

যাত্রীসেবার মান বেড়েছে, ভাড়া ও দুর্ভোগ কমেছে

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩৮ পিএম

মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটের ইজারাদার এস এম আনোয়ার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটের ইজারাদার এস এম আনোয়ার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সন্দ্বীপের অনেক সমস্যার মধ্যে যাতায়াত অন্যতম। দ্বীপ উপজেলা বিধায় নৌযান ছাড়া যোগাযোগের আর কোনো মাধ্যমও নেই। প্রায় ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সন্দ্বীপ চ্যানেল পাড়ি দিতে দ্বীপবাসীর ভরসা কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট। এ ঘাট নিয়েও আছে যাত্রী ও স্থানীয়দের নানা অভিযোগ। যাতায়াতের পাশাপাশি এ অঞ্চলের বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটের ইজারাদার এস এম আনোয়ার হোসেন।

প্র. বা : একসময়ের পিছিয়ে থাকা সন্দ্বীপ এখন উন্নয়নে অনেক দূর এগিয়েছে। আগামীর সন্দ্বীপ কেমন হতে পারে? 

এস এম আনোয়ার হোসেন : সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরই এই দ্বীপে সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়। এর সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো। ফলে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারছেন। নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় অনেকে গ্রামে ফিরে আসছেন। বিপুল অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে উন্নয়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে।

প্র. বা : প্রায় ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সন্দ্বীপ চ্যানেল পাড়ি দিতে দ্বীপবাসীর অন্যতম প্রধান মাধ্যম কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট। এটি আপনি পরিচালনা করেন। ওই ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

এস এম আনোয়ার হোসেন : অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ মোটেই সঠিক নয়। ২০১৪ সালে যখন ঘাটের দায়িত্ব নিই, তখন স্পিডবোটের ভাড়া ছিল জনপ্রতি ৪৫০ টাকা। আমি দায়িত্ব নিয়ে ভাড়া কমিয়েছিলাম ২০০ টাকা হারে। এরপর জ্বালানি ব্যয়সহ আনুষঙ্গিক ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় রেখে গত ১০ বছরে ভাড়া বেড়েছে সবার সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে। বর্তমান ভাড়া জনপ্রতি ৩৮০ টাকা, যা ১০ বছর আগের চেয়েও ৭০ টাকা কম। ভাড়া বৃদ্ধির অভিযোগ আদৌ সঠিক নয়।

প্র. বা : নৌ যাতায়াতে ভোগান্তির কারণে যাত্রীদের আন্দোলনের কারণে একজন ইজারাদার সরে গিয়ে আপনি দায়িত্ব পেলেন। যাত্রী ভোগান্তি কমাতে নতুন কী উদ্যোগ নিয়েছেন?

এস এম আনোয়ার হোসেন : একসময় যাত্রীদের দীর্ঘপথ কাদা মাড়িয়ে নৌযানে উঠতে হতো। বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে জেটি করে দেওয়া হলেও যাত্রীরা সরাসরি ওঠানামা করতে পারতেন না। আমরা জেটির সঙ্গে একটি কাঠের কাঠামো (সাঁকো) করেছি। এখন যাত্রীদের কাদামাটি মাড়াতে হয় না। এ ছাড়াও ঘাটে পর্যাপ্ত নৌযানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগের মতো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় না। মরদেহ পরিবহনেও আমরা ভাড়া নিই না। যাত্রীসেবার মান বেড়েছে বলেই অন্য তিনটি ঘাট চালু থাকার পরও যাত্রীরা কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট ব্যবহার করছেন।

প্র. বা : এই ঘাটে ভোগান্তির কারণে যাত্রীরা আন্দোলন করেছেন। যাত্রীদের আন্দোলনের কারণ কী? 

এস এম আনোয়ার হোসেন : প্রাকৃতিক কারণে কিছু ভোগান্তি আছে। আবহাওয়া বিরূপ হলে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঘাট বন্ধ রাখতে হয়। যাত্রীরা প্রয়োজনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে চান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করেন। তখন বিপুলসংখ্যক যাত্রী সামাল দেওয়া দুরূহ হয়ে পড়ে। এতে যাত্রীরা কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েন। এমন ভোগান্তি মাঝেমধ্যে হয়। এরপরও যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে বাড়তি জনবল নিয়োগ দিয়েছি। অভিযোগ শুনে সমাধানের চেষ্টা করি। আমাদের চেষ্টা ও আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি নেই।

প্র. বা : সন্দ্বীপ নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? 

এস এম আনোয়ার হোসেন : নতুন ভূমি জেগে ওঠায় সেখানে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পর্যটন ও কৃষি খাতেও সম্ভাবনা আছে। মগধারা ইউনিয়নে ১০ একর জায়গায় বিসিক শিল্পনগরী হচ্ছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতসহ সার্বিক উন্নয়নে সবার সঙ্গে কাজ করতে চাই।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা