নারায়ণগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:১৯ পিএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:২৩ পিএম
শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন শামীম ওসমান। প্রবা ফটো
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, গতকাল সাংবাদিকদের ফোন পেয়ে আমি জেনেছি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানে বিএনপির কিছু নেতা আমাকে দায়ী করেছে। আমি তাদের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙতে চাইলে বহু আগেই ভাঙতাম। দিনের বেলা ভাঙতাম। এর আগেও তো ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানকে আটকে দিয়েছি। জীবিত অবস্থায়ই তাকে আটকে দিয়েছি। সুতরাং রাতের বেলা ভাঙার প্রশ্ন আসে না। ওরা এটা করে একটা ইস্যু তৈরি করতে চায়, যেন এ কাজটা না হয়।’
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি এখানে একটি মঞ্চ হবে। এখানে ১৯৪৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সকল ইতিহাস ধারণ করা হবে। এতে বিএনপিরও গর্ববোধ করা উচিত। কারণ তাদের পূর্বপুরুষরাও এখানে অবদান রেখেছেন। গতকাল দেখলাম আমাকে দায়ী করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল তো থাকারই কথা না। পঞ্চম সংশোধনীতে সুপ্রিম কোর্ট জিয়াউর রহমানের শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। যদি এটা (জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল) ভাঙার ইচ্ছা থাকত, তবে আমরা দিনেই ভাঙতে পারতাম। রাতে ভাঙব কেন। টাউন হল নিয়ে জেলা প্রশাসন থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে ২ এপ্রিল। আর ৪ এপ্রিল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে টাউন হল ভেঙে ফেলার। তাহলে ৩ তারিখে গিয়ে ভাঙার তো কোনো প্রয়োজন দেখছি না। ওরা আসলে প্রশাসনের সেই চিঠি পেয়েছিল। এ কাজ যাতে শুরু না হয়, তাই ফন্দি এঁটেছে।’
শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আছে। তারা যোগ্যতার দিক দিয়ে অনেক বড়। আমি রাস্তায় কর্মী ছিলাম, সেখান থেকে এসেছি। তাই আমাকে টার্গেট করা হয়। কিন্তু ওরা যখন আমাকে নিয়ে অপবাদ দেয়, আমি এটাই বুঝি যে আমি রাইট (সঠিক)। ওরা ইতিহাসের বিকৃতি করার চেষ্টা করছে। ওরা অশান্তি করার চেষ্টা করছে। তাদের বলব, নারায়ণগঞ্জকে শান্ত থাকতে দিন। নারায়ণগঞ্জবাসীর ধৈর্যের সীমা ভেঙে যাচ্ছে।’