× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কেএনএফ দমনে পাহাড়ে যৌথ সাঁড়াশি অভিযান

প্রবা প্রতিবেদক, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বান্দরবান

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:০৬ এএম

আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৩১ এএম

বান্দরবান সেনানিবাসে রবিবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। প্রবা ফটো

বান্দরবান সেনানিবাসে রবিবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। প্রবা ফটো

বান্দরবানসহ দেশজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকরা পাহাড়ী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুচি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএফ) বিরুদ্ধে যৌথভাবে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে আইন প্রয়োগকারি সংস্থা। শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত থেকে শুরু হওয়া যৌথ অভিযানে (কম্বাইন্ড অপারেশন) ইতোমধ্যে দুইটি অস্ত্র উদ্ধার ও কেএনএফের প্রধান সমন্বয়কারিসহ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে। শুধু বান্দরবানই নয়; রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারসহ আশপাশের জেলাগুলোর যেখানে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি রয়েছে ওইসব এলাকায়ও যৌথ অভিযান চালানো হবে। সাম্পতিক ব্যাংক ডাকাতি, ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণসহ ভয়ানক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর শুরু হয়েছে এই অভিযান।এক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কোনো ছাড় দেবে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

রবিবার (৭ এপ্রিল) সেনাবাহিনী প্রধান  জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে বান্দরবান পৌঁছান। তিনি ৬৯ সেনা রিজিয়নে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বান্দরবানের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শনিবার রাত থেকে কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ২টি  অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। তিনি আরও বলেন, শান্তি কমিটির সঙ্গে কেএনএফ'র স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য আলোচনা চলছিল। দুটি মুখোমুখি সংলা- বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে, তৃতীয় বৈঠকের আগেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটায়। বম সম্প্রদায়ের  ইস্টার সানডে আয়োজনে ৩১ মার্চ রুমায় বেথেলপাড়াসহ সবগুলো গির্জায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৩৮টি কেক পাঠানো হয়েছে; উৎসব আয়োজন করার জন্য । কিন্তু ২ এপ্রিল তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটালো, মনের ভিতরে কি আছে সেটি জানা মুশকিল। সরকার তাদের বিশ্বাস করেছিল, কিন্তু কেএনএফ বিশ্বাস রাখেনি। তিনি আরও বলেন, কম্বাইন্ড অপারেশন ও গোয়েন্দা কার্যক্রমও চলছে। তাই অপারেশনের সবগুলো দৃশ্যমান নয়, কিছু কার্যক্রম অদৃশ্যে চলবে, যা সাধারণ মানুষ দেখবেনা, কিন্তু সুফল ভোগ করবে। 

বান্দরবানে থমথমে অবস্থা:  কেএনএফের তান্ডবের ঘটনায় রুমা ও থানচিতে রবিবারও ছিল থমথমে অবস্থা। সাধারণ মানুষের মধ্যে অজানা আতঙ্ক ও ভয়। এনিয়ে রবিবার পর্যন্ত ৮টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রুমা থানায় ৪টি ও থানচি থানায় ৪টি। সব মামলায় আসামী অজ্ঞাত। বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, রুমার ঘটনায়  বাদি হয়ে মামলা করেছে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম, পুলিশ ও আনসার।  পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। এখন পর্যন্ত মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে রুমা ও থানচি কোথাও নতুন করে গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়নি। হামলা লুটকারীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। রুমা-রোয়াংছড়ি, থানচি-আলীকদম সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে চালানো হচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপত্তা বাহিনী কর্মকর্তারা।
এদিকে রুমার অভ্যন্তরীন সকল যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রুমা বাজারের ব্যবসায়ী আবু সিদ্দিক জানান, রুমায় ব্যাংকে হামলার ঘটনায় আতংকে বাজার এলাকায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ ও লোকজন চলাচল সীমিত  রয়েছে। রুমা বাজার সমিতির এক সদস্য জানান, বাজার এলাকায় জনগনের উপস্থিতি কম থাকায় অধিকাংশ  দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সকাল থেকে রুমার অভ্যন্তরীণ সকল যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

রুমা-থানচিতে ব্যাংক লেনদেন বন্ধ: ব্যাংক ডাকাতির পর থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা-থানচি ও রোয়াংছড়ির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের সকল লেনদেন বন্ধ রয়েছে। এই তিন উপজেলার গ্রাহকরা বান্দরবান সদর শাখায় লেনদেন করতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন সোনালী ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম।

কেএনএফের প্রধান সমন্বয়কারী আটক: কেএনএফ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বম (৫৫) নামের একজনকে যৌথ অভিযানে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। রবিবার বিকালে বান্দরবান জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে ৱ্যাব-১৫ এর ক্যাম্প কমান্ডার লে.কর্ণেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, আটক চেওসিম বম বান্দরবান সুয়ালক ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যারণ পাড়ার মৃত বোয়াল খুব বমের ছেলে। 
তিনি বান্দরবান জেলার মধ্যে প্রথম কেএনএফ কমিটি গঠন করেছিলেন এবং কেএনএফের প্রধান নাথান বমের আত্মীয়। জামাতুল আসনার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার জঙ্গি নেতা শামীম মাহফুজ এবং নাথান বমের সাথে অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণের চুক্তি  শারণ পাড়ার চেওসিম বমের বাড়িতেই হয়েছিলো।  

রাঙ্গামাটিতে সতর্কতা: বান্দরবানে কেএনএফের তাণ্ডবের পর সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, বান্দরবানের পাশ্ববর্তী জেলা হিসেবে সর্বোচ্চ সতর্ক আছি। আমরা সবগুলো বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজিয়েছি। ব্যাংক, আর্থিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছি। জেলার প্রত্যেকটি থানা এলাকায় টহল ও তল্লাশী কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইন প্রয়োগকারি সকল সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার।  
খাগড়াছড়িতে পুলিশের তল্লাশী বাড়ানো হয়েছে: পার্বত্য এলাকা হিসেবে খাগড়াছড়িতেও পুলিশের টহল ও তল্লাশী বাড়ানো হয়েছে। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে সেজন্য বিজিবি, র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আপাতত জেলায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা নেই। পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। 

অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আহ্বান: বান্দরবানের কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লা। রবিবার শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সদস্য সচিব লালজারলম বম এবং আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সমন্বয়ে এই পর্যন্ত বম জনগোষ্ঠীর জন্য রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার মোট ৯৬৮ টি বম পরিবারে ১৩৪ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য, নগদ অর্থ, শীতবস্ত্র, চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কারাবন্দি ২ জন সদস্যকে জামিনে মুক্তি লাভে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। অবশিষ্ট কারাবন্দি সদস্যদের মুক্তির বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ বম জনগোষ্ঠীদের সহায়তার জন্য এলাকায় খাদ্য শস্য ইতোমধ্যে পৌঁছানো হয়েছে। তাদের উত্থাপিত দাবিসমূহ ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। তবুও কেএনএফ সদস্যরা গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় অতর্কিতভাবে সশস্ত্র অবস্থায় বর্বরোচিত হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি করে হামলা, অর্থ লুটের উদ্দেশে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪ টি অস্ত্র লুট করে নিয়েছে। এছাড়া ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় স্থানীয় অধিবাসীদের জিম্মি করে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ ও দুটি ব্যাংক লুট করার মতো জঘন্যতম ঘটনায় সমগ্র জাতি স্তম্ভিত ও মর্মাহত হয়েছে। সমঝোতা চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘন করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতোমধ্যে অপহরণের শিকার ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা গেলেও পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর লুট হওয়া ১৪ টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। অশান্ত পরিস্থিতি পরিহার এবং সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী কেএনএফ এর সকল সদস্যকে শান্তি বজায় রাখতে অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি।  

কেএনএফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : আইজিপি ; পাহাড়ি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কেএনএফ-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি রবিবার সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, কুকি-চিন যে আক্রমণ করেছে আমরা সকলে মিলে তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করে কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতোমধ্যেই ব্যবস্থাগ্রহণ শুরু হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কিছু কার্যক্রমের খবর আসছে। আগামীতে আরও ভালো খবর আসবে। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, কুকি-চিনের বিরুদ্ধে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। এখন আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থা নেই। তিনি বলেন, সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। জিরো টলারেন্স নীতির কারণে আমরা যেভাবে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ করেছি, পাহাড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীসহ সকলে একসঙ্গে কাজ করছি। পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা পাহাড়ে অপরাধ সংগঠিত করার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা