রায়পুরে ‘মেয়রের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ায়’ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে মারধর

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ায় এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রবিবার (৭ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রায়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।

এর আগে শনিবার রাতে মেয়রের রায়পুর গাজী কমপ্লেক্সের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের নিচে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মীর মাসুদ আলম রায়পুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌরসভার পূর্বলাচ এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে। অভিযুক্ত মহিন রায়পুর পৌরসভার দেনায়েতপুর এলাকার বয়াতিবাড়ির মৃত বাবুল মিয়ার ছেল। মহিন মেয়র রুবেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মাসুদ সমাজমাধ্যমে শনিবার বিকালে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি লেখেন, ‘রায়পুর পৌরসভার মেয়র রুবেল ভাটের নির্বাচনের সময় সহযোগী সংগঠনের প্রয়োজন হয়। আর এখন ভিজিএফ চালের কার্ড বিতরণে সহযোগী সংগঠনকে চেনেন না।’ এরপর এক ব্যক্তির অনুরোধে মাসুদ স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেয়রের ‘ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত স্থানীয় বয়াতিবাড়ির মহিন হোসেন মোবাইলে ফোন করে মাসুদকে মেয়রের অফিসের নিচে আসতে বলেন। সেখানে এলে তাকে পাশের মন্দিরের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে মাসুদকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।

মহিন হোসেন বলেন, ‘আমার টিকটকে সে বাজে মন্তব্য করায় তাকে ডেকে এনেছি। মাসুদের সঙ্গে আমার ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে দেখি সে রক্তাক্ত।’

মীর মাসুদ আলম বলেন, ‘টিকটকের কোনো ঘটনাই নেই। মেয়রের স্ট্যাটাসের কথা বলেই আমাকে পিটিয়েছে। ঘটনার পরই আমি থানায় গিয়ে ওসিকে দেখিয়েছি। মহিনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

রায়পুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, ‘হাসপাতালে গিয়ে মাসুদকে আমিও দেখে এসেছি। হামলাকারী মহিনকে আমি ডেকে জেনেছি টিকটক নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব। মাসুদের স্ট্যাটাস দেখার আমার সময়ইবা কই?’

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, ‘আহত মাসুদ থানায় এসে ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছেন। তিনি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’