অরূপ রতন, বগুড়া
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৩২ পিএম
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৭ পিএম
বগুড়ার ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাস কাউন্টারগুলোতে আনাগোনা বেড়েছে টিকিট প্রত্যাশীদের। প্রবা ফটো
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন শ্রমজীবীরা। তাদের মধ্যে যারা ফিরতি টিকিট করে রেখেছিলেন তারা ঘড়ি ধরে আরাম-আয়েশে কাউন্টারে আসছেন। তবে অনেকে টিকিট পেতে বিভিন্ন বাস কোম্পানির কাউন্টারে ধর্না দিচ্ছেন। বাড়তি টাকা বা সম্পর্কের সুবাদে শেষমেষ যে দুএক জনের কপালে টিকিট জুটছে তাদের মুখের হাসি চওড়া হচ্ছে। তবে যারা ভালো কোম্পানির টিকিট পাচ্ছেন না তাদের বাড়তি টাকা দিয়ে ভরসা রাখতে হচ্ছে লোকাল বাসের ওপর। মুখে বিরক্তি আর কপালে চিন্তার ভাজ নিয়ে তারা রওনা করছেন।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে শহরের ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড, বনানী এবং চারমাথা বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন নন্দীগ্রামের আব্দুর রাজ্জাক। ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ডে এসে বাসের কোন টিকিট পাননি। তিনি বলেন, ‘কোন কাউন্টারে বাসের টিকিট নাই। এখন কাল সকালে গার্মেন্টসে ঢুকতেই হবে। যেকোন উপায়ে ঢাকায় যেতেই হবে।’
রাজু ইসলাম নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘কাউন্টারে কোন টিকেট নাই। লোকাল বাসে সিট পেয়েছি। তাও ভাড়া ৮০০ টাকা। এটা দেখার কেউ নাই।’
মৃদুল রহমান নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘মানিক এক্সপ্রেসে একটা সিট ফাঁকা আছে। সেটা তা-ও সুপারভাইজারের সিট। সেই সিটের ভাড়া চাচ্ছে দেড় হাজার টাকা।’
এসআর কাউন্টারের শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বাসের টিকিট অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। আজ গত কয়েক দিনের তুলনায় যাত্রীদের চাপ বেশি।‘
শ্যামলী পরিবহনের বিপুল দত্ত বলেন, ‘আমাদের বগুড়ার জন্য মাত্র ৮টা সিট বরাদ্দ। কারণ আমাদের সব বাস নওগাঁ থেকে বগুড়া ভায়া হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করে। আজ যাত্রীরা টিকিটের জন্য এসে ফিরে যাচ্ছে।’
সোনার তরী নামে লোকাল বাসের সুপারভাইজার রমজান আলী জানান, ‘ব্র্যান্ডের বাসের কোন টিকিটি নাই। তাই আমাদের মতো বাসগুলো চাপ বেশি। তবে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। ঈদ উপলক্ষ্যে আগে থেকেই ভাড়া বেশি।‘