সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৫৭ পিএম
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২৩ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুণ্ডা গ্রামে ঐতিহ্যবাহী শুঁটকি মেলা শুরু হয়েছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের ভোরে এই মেলা শুরু হয়। ঐতিহ্য অনুযায়ী মেলার শুরুতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পণ্যের বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে শুঁটকি। পরে টাকায় বেচাকেনা শুরু হয় বলে জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।
উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ধানতলিয়া গ্রামের বাসিন্দা নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মো. আলী আকরাম খন্দকার স্বপন বলেন, শত বছরের ঐতিহ্য ধারণ করছেে এই মেলা। মেলা ঘিরে শুঁটকিপ্রেমীদের ভিড় জমেছে। তবে অন্যান্য পণ্যও কেনাবেচা হয় এখানে।
কুলিকুণ্ডা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বসা মেলাটি চলবে সোমবার পর্যন্ত।
কুলিকুন্ডা দক্ষিণ সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুক মিয়া জানান, এই শুটকি মেলা শত বছরের পুরানো। বাংলা নববর্ষকে ঘিরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এলাকাবাসী উৎসবমুখর পরিবেশে এই মেলা উপভোগ করে থাকে। মেলা উপলক্ষে গ্রামে অন্যান্য এলাকা থেকে আত্মীয় স্বজনের আগমন ঘটেছে।
স্থানীয় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত চাল, ডাল, ধান, শিমের বিচি, আলু, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের বিনিময়ে শুটকি কিনে নেন। এই পণ্যের বিনিময় প্রথাটি মেলার শুরুর দিকে ২/৩ ঘণ্টা চলমান থাকে।
নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক ইত্তেফাকের উপজেলা প্রতিনিধি আকতার হোসেন ভূইয়া জানিয়েছেন, এই শুটকি মেলা আমাদের লোকজ উৎসবের অংশ। নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ছাড়াও পাশের উপজেলা থেকে মেলায় লোকসমাগম ঘটে।
নাসিরনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস জানিয়েছেন, মেলা উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থী বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন। মূল আকর্ষণ বিপুল পরিমাণ শুটকি হলেও মেলায় বাঁশ-বেতের জিনিসপত্র, কাঠের আসবাবপত্র, মাটির তৈরি জিনিসপত্র, মিষ্টির দোকান, মই, নাগরদোলাসহ গ্রামীণ জীবনের নানা অনুষঙ্গ রয়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রামের বাসিন্দা শুটকি ব্যবসায়ী লক্ষণ দাস জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার ভিড় বেড়েছে। ভালো বিক্রি হয়েছে।