নওগাঁ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২৬ পিএম
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:০১ পিএম
এমভি আবদুল্লাহর চিফ ইঞ্জিনিয়ার সাইদুজ্জামান সাঈদের মুক্তির খবরে স্বস্তি ফিরেছে তার পরিবারে। প্রবা ফটো
সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাত থেকে প্রিয় মানুষের মুক্তির খবরে নতুন করে ঈদের খুশি বইছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর চিফ ইঞ্জিনিয়ার সাইদুজ্জামান সাঈদের পরিবারে। স্বস্তি ফিরেছে পরিবারের সদস্যদের মাঝে। তাকে দেখার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তার বাবা-মা, স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্যরা। নিরাশা কাটিয়ে পরিবারে ছড়িয়ে পড়েছে খুশির আমেজ।
সাইদুজ্জামান সাঈদ নওগাঁ শহরের আরজী নওগাঁ- শাহী মসজিদ ফিসারি গেট এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে।
কথা হয় তার পরিবারের সঙ্গে। সাঈদের বাবা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘জলদস্যুদের হাতে সাঈদ আটকের খবরের পর থেকে দিনগুলো যেন বিভীষিকাময় কেটেছে। এর মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর চলে এলেও ঈদের খুশি ছিল না পরিবারে। ছেলের মুক্তির খবর শোনার পর আমাদের পরিবারে স্বস্তি এসেছে। আমাদের বুকের ওপর যে পাথর চেপে ছিল, সেটি নেমে গেছে। এই খবর শোনার পর ঈদের আনন্দ আমরা নতুন করে উপভোগ করছি।’
সাঈদের স্ত্রী মান্না তাহরিন বলেন, ‘রবিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমাদের ফোনে জানানো হয় মুক্তির খবরটি। পরে সকালে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান জলদস্যুরা তাদের মুক্ত করে দিয়েছে এবং তারা চলে গেছে। এখন ধীরে ধীরে সোমালিয়া উপকূল পার হয়ে দুবাইয়ের দিকে যাওয়া হবে। ২২ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত সময় লাগবে তাদের আসতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এক মাস খুবই ভয়াবহ বিপদের মধ্যে কেটেছে। আসলে বাইরের এটা কেউ বুঝবে না। তাদের মুক্তির খবর শোনার পর খুবই ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা। এখন সুস্থভাবে যত দ্রুত বাড়ি ফিরবে আমরা ততই স্বস্তি পাব।’
দ্রুত আটক নাবিকদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ায় কোম্পানি ও সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়।