টাঙ্গাইল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৫৫ পিএম
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৩৪ পিএম
গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির। প্রবা ফটো
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাকে চূড়ান্ত অব্যাহতি দিতে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেছেন শহর আওয়ামী লীগের নেতারা।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) ওই চিঠির একটি কপি সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ৭ এপ্রিল টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর এবং সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দলের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের মাধ্যমে ওবায়দুল কাদেরের কাছে পাঠানো হয়।
বড় মনির টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই। এ ছাড়া তিনি জেলা বাস কোচ মিনি বাস মালিক সমিতির মহাসচিব। ২৯ মার্চ ঢাকার তুরাগ থানায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন এক নারী। এ ঘটনায় দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।
অব্যাহতি দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ধর্ষণ মামলার বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বড় মনিরের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দলীয় ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে টাঙ্গাইলের সাধারণ মানুষ দলের প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ করছে। এমন অবস্থায় টাঙ্গাইল জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং সুনাম ও ভাবমূর্তি বজায় রাখতে বড় মনিরকে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করা হলো।
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ বলেন, ‘ঈদের আগে দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে বড় মনিরকে চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সুপারিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের কোনো সিদ্ধান্ত এখনও পাওয়া যায়নি।’
এ ব্যাপারে বড় মনিরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মামলা হওয়ার পর তিনি জার্মানিতে চলে গেছেন।
এর আগে গত বছর এপ্রিলে বড় মনিরের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ওই মামলায় অভিযোগে বলা হয়, বড় মনিরের ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন ওই নারী। পরে ওই নারী একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন। আদালতের নির্দেশে ওই সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এতে বলা হয়, ওই সন্তানের বাবা গোলাম কিবরিয়া নন। এর কয়েক মাস পর ওই নারী আত্মহত্যা করেন।