বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০৫ পিএম
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৫২ পিএম
শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান। ফাইল ফটো
বগুড়ায় থানায় হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য পদ হারানো নুরুজ্জামান ওরফে নুরুকে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে থানায় হামলা চালানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার বাকি ৮ আসামির আট দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা বিভাগের ইনচার্জ মুস্তাফিজ হাসান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, থানায় হামলার ঘটনায় নুরুসহ সাদ্দাম হোসেন রবিন, রমজান আলী, সাইদুর রহমান খোকন, বোরহান উদ্দিন, সেরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মো. মিতুল এবং ওয়াবুজ্জামান রাতুলের তিন দিনের রিমান্ড এবং অস্ত্র মামলায় নুরুর আরও তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
এর আগে, ৬ এপ্রিল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৯টায় আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযানে মদ্যপ অবস্থায় মাদক, দুটি বার্মিজ চাকু ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান ওরফে নুরু অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে থানায় প্রবেশ করে আসামি মিঠুন মিয়াকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় থানার ওসি শহিদুল ইসলামকে ধাক্কা দেয় এবং অপর পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। মারধরে অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে নুরুজ্জামানসহ আরও লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করতে মাঝিড়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় জেলা পুলিশ, র্যাব ও ডিবির সদস্যরা নুরুসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় অভিযান পরিচালনা করে নুরুর বাড়ি থেকে ৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল এবং নুরুর ম্যানেজার নাজমুলের বাড়ি থেকে ৮ রাউন্ড গুলিসহ আরও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও ৩৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।