লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২৯ পিএম
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩৫ পিএম
প্রতীকী ছবি
লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের চার কর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ গ্রেপ্তার তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এর আগে সোমবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগকর্মী এম সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ২০ জনকে আসামি করা হয়।
গ্রেপ্তার তাজু ভূঁইয়া চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাকা মিয়ার ছেলে। এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি তিনি। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন পাঁচপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেন ও একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ বাবু।
সোমবার দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। পরে রাতে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাদের।
এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগকর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় পাঠান।
সজীবের মা বাদী বুলি বেগম বলেন, আমার ছেলের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আমি অভিযুক্তদের উপযুক্ত বিচার চাই।
ঘটনার পর চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু বলেন, আমি বা আমার কেউই হামলার সঙ্গে জড়িত নই। কিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে রাগ-অভিমানের কারণে আমার দূরত্ব রয়েছে। এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রমূলক আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
এসব বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।