× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মামলা হয়, বিচার এগোয় না

বগুড়ায় দুদকের নথিতে ১৭ রাজনীতিক

মোহন আখন্দ, বগুড়া অফিস

প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫২ এএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

রাজনৈতিক পদ-পদবি ব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনা বাড়ছে বগুড়ায়। গত দেড় দশকে এখানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অবৈধ সম্পদ অর্জনের যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলোর ৬৮ শতাংশই রাজনৈতিক নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।

২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানে মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এসেছে। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিই ১৭ জন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। এ ছাড়া বর্তমান এক সংসদ সদস্যসহ পাঁচজনের সম্পদের অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। 

মামলায় নাম রয়েছে এমন নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে এ পর্যন্ত সাবেক দুই সংসদ সদস্যের সাজা হয়েছে। অন্য ১০টি মামলার মধ্যে দুটির কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। বাকি আটটির মধ্যে চারটির বিচারকাজ চলছে। তবে অন্য চারটির তদন্ত শেষ করতে পারেনি দুদক।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠা রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সিংহভাগই শাসক দল আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের। এ ছাড়া আছেন বিএনপি এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাও। 

সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযানের (সুপ্র) বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কেজিএম ফারুক বলেন, রাজনৈতিক পদবি ব্যবহার করে অপকর্মের মাধ্যমে রাতারাতি যে কোটিপতি হওয়া যায়, ২০১৭ সালে দেশজুড়ে আলোচিত ‘তুফানকাণ্ডের’ হোতা বগুড়ার তুফান সরকারই এর সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত। 

বগুড়ায় যে দুর্বৃত্তায়ন মারাত্মকভাবে বেড়েছে সে কথা খোদ দুদকের কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জমান জানান, দেশের অন্য যেকোনো জেলার চেয়ে বগুড়ায় চাঁদাবাজি এবং সরকারি সম্পদ দখলের অভিযোগ বেশি শোনা যায়। তবে প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করা সম্ভব হয় না। 

দুদকের নথিতে যাদের নাম

দুর্নীতি দমন ব্যুরো ২০০৪ সালে দুদকে রূপান্তর হওয়ার পর বগুড়ায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা হয় ২০০৭ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে।

ওই সময় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু এবং দলটির অপর তিন নেতা যথাক্রমে বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, শেরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি জানে আলম খোকা এবং শেরপুর উপজেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবলুর বিরুদ্ধে চারটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় চার নেতার স্ত্রীদেরও আসামি করা হয়। তারপর ২০১৪ সাল থেকে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা হতে থাকে। 

এরপর থেকে একে একে বিএনপিদলীয় আরেক সাবেক সংসদ সদস্য নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি, সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা জহুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা যুবলীগের আমিনুল ইসলাম, শ্রমিক লীগের (বহিষ্কৃত) তুফান সরকার, তার বড় ভাই যুবলীগের (বহিষ্কৃত) আব্দুল মতিন সরকার, আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক লীগের রাশেদুল ইসলাম রাজা ও জেলা আওয়ামী লীগের মঞ্জুরুল আলম মোহন এবং সর্বশেষ চলতি মাসে জাতীয় শ্রমিক লীগের সামছুদ্দিন শেখ হেলালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। 

এ ছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় দুদকের নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগের আসাদুর রহমান দুলু, বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু, শহর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত আব্দুল মান্নান আকন্দ, জেলা বিএনপির পরিমল চন্দ্র দাস ও শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আজিজুল হকের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে দুদক আরও যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তারা প্রত্যেকেই ওই অভিযোগুলোকে মিথ্যা উল্লেখ করে আইনগতভাবে সেগুলো মোকাবিলা করার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে দুদক যাদের সম্পদের অনুসন্ধান করছে, তারা বিষয়টিকে ‘হয়রানিমূলক’ বলে উল্লেখ করেছেন। 

দুদকের বক্তব্য

মামলার তদন্ত কার্যক্রম ১২০ দিনের মধ্যে শেষ করার নিয়ম থাকলেও অনেক মামলা এক বছর এমনকি দুই বছর ধরে ফেলে রাখার কারণ জানতে চাইলে দুদকের সমন্বিত বগুড়া জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, জনবল সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ করা সম্ভব হয় না। তা ছাড়া অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে অনেক দপ্তরে চিঠি দেওয়া হলেও তেমন সাড়া পাওয়া যায় না। এ কারণেও দেরি হয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা