কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৫:৫৬ পিএম
ভিজিডি কার্ডের টাকা না পেয়ে সুবিধাভোগীর শ্বশুরের মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তির স্ত্রীর করা মামলায় ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়াকুটি বাজারে।
গ্রেপ্তার হওয়া ইউপি সদস্য মাহফুজার রহমান বাদল কাশিপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলহাজাতে পাঠানো হয়।
আহত গোলজার হোসেন একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং অনন্তপুর হাজিটারি গ্রামের মৃত গোলাপ হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা দাখিল মাদরাসায় দপ্তরির কাজ করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে বেড়াকুটি বাজারে ইউপি সদস্য মাহফুজার রহমান বাদলের কাছ থেকে ছেলে বউয়ের নামে হওয়া ভিজিডি কার্ড চায় গোলজার হোসেন। এ সময় দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বাজারের একটি দোকানের সামনে থাকা কাঠের টুকরা নিয়ে গোলজারের মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়। গোলজারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে।
আহত গোলজার হোসেন জানান, কিছুদিন আগে তার ছেলের বউ ববিতা বেগম ভিজিডি কার্ডের তালিকাভুক্ত হন। ওই কার্ডটি তুলে নিজের কাছে রেখে দেন ইউপি সদস্য বাদল। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজারে বাদল মেম্বারের দেখা হলে ছেলের বউয়ের ভিজিডি কার্ডটি চাইলে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন ইউপি সদস্য মাহফুজার রহমান বাদল। টাকা না দিলে কার্ডটি অন্য কাউকে দেয়ার হুমকি দেন বাদল। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কের একপর্যায়ে তার মাথা ফাটিয়ে দেন মেম্বার।
ইউপি সদস্য মাহফুজার রহমান বাদল বলেন, ‘ভিজিডির কার্ডের জন্য টাকা চাওয়া হয়নি। এজন্য তার সঙ্গে বাঁধেনি। ১৩ বছর আগের পাওনা টাকা চাইলে সে উল্টাপাল্টা বলেছে। এজন্য তাকে পিটিয়েছি।’
তবে কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক বলেন, ‘ভিজিডি কার্ড নিয়ে ওই লোককে লাঠি দিয়ে মেরেছে মেম্বার। বিষয়টি আমাকে জানালে তাকে চিকিৎসা নিতে ও আইনি পদক্ষেপ নিতে বলেছি।’
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান বলেন, ‘আহত গোলজার হোসেনের স্ত্রী নছিরন বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।’