ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাই, মূল পরিকল্পনাকারীর দায় স্বীকার

রাজধানীর উত্তরায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মূল পরিকল্পনাকারী আকাশ আহম্মেদ বাবুল।

রবিবার (২৬ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুই দফা রিমান্ড শেষে রবিবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় ছিনতাইয়ের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আকাশ আহম্মেদকে ১৪ মার্চ খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা। পরদিন তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ২১ মার্চ ফের তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর আকাশ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আদালতের সূত্র জানিয়েছে, আকাশ সরাসরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। তার নেতৃত্বে এই ছিনতাই হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই তারা ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা নিয়ে যাতায়াতকারী মাইক্রোবাসটি লক্ষ্য করে আসছিলেন। তারপর ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। আকাশ নিজেই ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত কালো রঙের মাইক্রোবাস ভাড়া করেন। পরে সহযোগীদের নিয়ে মাইক্রোবাসে করে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর ব্রিজসংলগ্ন সড়কে অবস্থান করেন।

ব্যাংকের টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় তারা গাড়িটা আটকান। ওই গাড়িতে যারা ছিলেন তাদের নামিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে টাকার চারটি বক্স নিয়ে যান। টাকার বক্সগুলো নিয়ে তারা নিজেদের কালো রঙের মাইক্রোবাসে তোলেন। বক্স ভেঙে টাকাগুলো বাজারের ব্যাগে করে নিজেদের মাইক্রোবাসে যান এবং নিরাপদ স্থানে গিয়ে প্রত্যেকে টাকাগুলো নিয়ে আলাদাভাবে সটকে পড়েন। একটি বক্সে থাকা টাকা মাইক্রোবাসে রয়ে যায়। ওই টাকাগুলো ভাড়া করা মাইক্রোবাসের চালক নিয়ে যান।

৯ মার্চ মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের একটি গাড়িতে ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা সাভার ইপিজেডের ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথে নেওয়া হচ্ছিল। উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে ছিনতাইকারীরা টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে তুরাগ থানায় মামলা করেন।