প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪৩ পিএম
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৫৩ পিএম
খান রোকনুজ্জামান। প্রবা ফটো
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খান রোকনুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শিহাব করিম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে রোকনুজ্জামানসহ রাজাকার বাহিনীর অন্য দোসররা সাতক্ষীরা এলাকায় মুক্তিকামী মানুষের উপর নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা-গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী কাজ করেছিল। ওই সময়ে হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে নিয়ে রোকনুজ্জামান সাতক্ষীরা জেলায় পাঁচজন ব্যক্তিকে গলা কেটে ও একজনকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা এবং দুজনকে ধর্ষণ ও ১৪ জনকে আটক করে নির্যাতনের মতো অপরাধে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে সাতক্ষীরায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অপরাধে একটি মামলা করা হয়।পরে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।
এএসপি শিহাব করিম আরও জানান, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে। পরে ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আসামি রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত শেষে ১৭ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে ছয়জনকে হত্যা, দুজনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে আটক ও নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২২ সালের ৩ মার্চ রোকনুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-২ একটি অভিযান পরিচালনা করে শনিবার রাতে সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব জানিয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।