× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এখন অপরাধের বড় হাতিয়ার

সাইফ বাবলু

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪ ১০:৫৬ এএম

আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৪ ১১:০৩ এএম

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এখন অপরাধের বড় হাতিয়ার

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয়ে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতেন তিনি। কথাবার্তা আর আচার-আচরণে চৌকস এই ব্যক্তির বিচরণক্ষেত্র ছিল ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তিনি প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ফাঁদে ফেলতেন নারীদের। গোপনে একান্ত মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে সেগুলো নেটজগতে ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিতেন টাকাপয়সা। এভাবে কমপক্ষে ৫০ তরুণীকে ফাঁদে ফেলেছেন তিনি। অনেকের সংসারও ভেঙেছে তার কারণে।

মাঝখানে জেল খাটলেও সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও সাইবার অপরাধজগতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন রাহমাতুল রাফসান অর্ণব। সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা ইন্সপেক্টর পদপর্যাদার একজন ‍পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে তিনি। 

একই পথে হাঁটছে গোপালগঞ্জের বাসিন্দা বিপ্লব লস্করের নেতৃত্বাধীন একটি চক্র। পার্সেল প্রতারণার চক্র গড়ে তুলে বিভিন্নজনের কাছ থেকে ইতোমধ্যেই ৫০ কোটি টাকার মতো হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। গত বছর বিদেশি নাগরিকসহ এ চক্রের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। অথচ ডজনখানেক মামলা হলেও অদৃশ্য কোনো কারণে সেসব মামলায় জামিন পেয়ে যান চক্রের বেশিরভাগ সদস্য। এ চক্রের গ্রেপ্তার না হওয়া সদস্যরা এখনও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতারণায় সক্রিয় রয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু অর্ণব বা বিপ্লব লস্করই নয়, দেশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এমন শতাধিক চক্র রয়েছে। পুলিশের তালিকার বাইরেও নতুন নতুন সাইবার অপরাধী চক্র সারা দেশে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এসব চক্রের সদস্যদের অপরাধের বড় হাতিয়ার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। সারা দেশে সাইবার অপরাধের ঘটনায় হওয়া মামলার বেশিরভাগই তদন্তের জন্য পাঠানো হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার টিমসহ বিভাগীয় মেট্রোপলিটন শহরের সাইবার টিমগুলোও কিছু মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে। তবু সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। 

সাইবার পুলিশ নামে পুলিশের স্বতন্ত্র ইউনিট হচ্ছে

পুলিশ সদরদপ্তর জানিয়েছে, সাইবার অপরাধ ঠেকাতে প্রতিটি জেলায় পুলিশ সুপারদের পৃথক সাইবার টিম গঠনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সাইবার পুলিশ নামে এই স্বতন্ত্র ইউনিট গঠনের প্রস্তাব রয়েছে সরকারের কাছে। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি সমাপ্ত পুলিশ সপ্তাহে পিবিআই, সিআইডির মতো স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট গঠনের কথা বলেছেন। পুলিশ সদরদপ্তর সে লক্ষ্যে কাজ করছে।

সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার জানায়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অপরাধের ঘটনায় সিআইডির কাছে বর্তমানে ১৬৮টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে সাত বছর আগে হওয়া মামলাও রয়েছে। এর মধ্যে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় হওয়া মামলার সংখ্যা বেশি। বেশিরভাগ মামলাই হয়েছে অনলাইনকেন্দ্রিক বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায়। এ ছাড়া ফেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা, মিথ্যা প্রচারণা ছড়ানো, ফেসবুক বা ওয়েবসাইট হ্যাকিং, অনলাইন জুয়া, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা, ভিডিও বা ছবি ছড়িয়ে প্রতারণার ঘটনায়ও মামলা রয়েছে। তবে জনবল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে নতুন সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে রাশ টেনে ধরতে পারছে না পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ট্র্যাডিশনাল অপরাধেও (হত্যা, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, মাদক, অস্ত্র ব্যবসা ও অপহরণ) এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার হচ্ছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পেশাদার অপরাধীরা ঝুঁকছে সাইবারকেন্দ্রিক অপরাধের দিকে। এরা মোবাইল ফোনে কোনো ধরনের সিম ব্যবহার করে না। টার্গেট ব্যক্তিদের সঙ্গে অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে টাকাপয়সা হাতিয়ে নেওয়ার পর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ কারণে মামলা বা অভিযোগ হলেও অনেক সময় আসামি গ্রেপ্তারে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। 

সাইবার অপরাধে ব্যবহার হচ্ছে নিবন্ধনহীন মোবাইল ফোনসেট 

গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইওবি) সভাপতি জাকারিয়া শাহিদ অভিযোগ করেন, দেশে অবৈধভাবে আমদানি করা নিবন্ধনহীন মোবাইল ফোনসেটের মাধ্যমে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এমআইওবি, মোবাইল ফোন অপারেটর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সব অংশীজনের সঙ্গে কয়েক বছরের পর্যালোচনা শেষে ২০২১ সালে এনইআইআর বা ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার চালু করে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল দেশে অবৈধ পথে মোবাইল ফোনসেট আনা বন্ধ করা। এ লক্ষ্যে বিটিআরসি ২০২০ সালে বিপুল সরকারি অর্থ ব্যয় করে এনইআইআর সিস্টেমটি ক্রয় ও স্থাপন করে। কিন্তু রহস্যজনকভাবে এটি চালু করার কিছুদিনের মধ্যেই তা স্থগিত বা শিথিল করে দেওয়া হয়। বর্তমানে সন্ত্রাসীরা সিমকার্ড ব্যতিরেকে ওয়াই-ফাই বা অন্য কোনো প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম। যদি মোবাইল ফোনসেটের আইএমইআই নম্বরটিও সিমের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করা থাকে তাহলে আইপি অ্যাড্রেস ও আইএমইআইয়ের মাধ্যমে এসব সন্ত্রাস মোকাবিলা সম্ভব। এনইআইআর পদ্ধতি এই নিরাপত্তা খুব সহজেই প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

সিআইডি যা বলছে 

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারের অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) রেজাউল মাসুদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম, পর্নোগ্রাফি, ফেসবুক এবং ওয়েবসাইট হ্যাকড ও প্রতারণাÑ এ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ হচ্ছে। আগে সাইবারকেন্দ্রিক সব অপরাধ আমলযোগ্য হিসেবে থানায় মামলা করার সুযোগ ছিল এবং সেক্ষেত্রে পুলিশের কাজও বেশি ছিল। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তন এনে সাইবার নিরাপত্তা আইনে চারটি ধারায় আমলযোগ্য অপরাধ হিসেবে থানায় মামলা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। অন্য সব ধারার অপরাধ অ-আমলযোগ্য। অ-আমলযোগ্য অপরাধের ধারায় পড়লে থানায় মামলা নেওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হবে।’ 

অপরাধ বাড়লেও মামলা কমছে

পুলিশের এক প্রতিবেদন বলছে, সাইবার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইনে চকটদার বিজ্ঞাপন দিয়ে অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, এমএলএম ব্যবসা, আর্থিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ব্যবসা চালাচ্ছে। এ ছাড়া জুয়ার সাইট, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা, পর্নোগ্রাফি, ফেসবুক ও ওয়েবসাইট হ্যাকিং, মানহানিকর বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমেও অনেক ভুক্তভোগীকে হয়রানি করা হচ্ছে। দেশি সাইবার অপরাধ চক্রের পাশাপাশি বিদেশি চক্রের মাধ্যমেও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। তবে বেশিরভাগ ঘটনার ক্ষেত্রে থানায় মামলা হচ্ছে না। এসব ঘটনা প্রকাশ করতে চান না ভুক্তভোগীরা। 

ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের যুগ্ম কমিশনার খন্দকার নুরুন্নবী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সাইবার অপরাধ আগের চেয়ে বেড়েছে। ঢাকায় সাইবার ক্রাইম বিভাগে প্রতিদিন ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন। বর্তমানে সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে ডিএমপিতে সাইবার ক্রাইম বিভাগকে উত্তর ও দক্ষিণ দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। দুজন উপপুলিশ কমিশনার (এসপি) পদায়ন করে পৃথক পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে।’ 

সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সাইবার ইনভেস্টিগেশন ও অপারেশন টিমের কর্মকর্তা এসআই শাখাওয়াত হোসেন জানান, সাইবার অপরাধী চক্রের সদস্যরা জনৈক আব্দুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন দিয়ে হালনাগাদ করার কথা বলে এটিএম কার্ডের তথ্য নিয়ে নেয়। এরপর সাড়ে ৬ লাখ টাকা বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে তুলে নেয়। এ ঘটনায় চক্রটি মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে প্রতারণা করলেও সাইবার নিরাপত্তা আইনে এ অপরাধ অ-আমলযোগ্য হওয়ায় থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব হয়নি। পেনালকোডসহ নিয়মিত ধারার অপরাধে মামলা করে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। কিন্তু জেলে কিছুদিন থাকার পর তারা জামিনে বেরিয়ে গেছে। 

ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার ইউনিটের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ফেসবুক ও অন্যান্য ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনা ছিল মোট সাইবার অপরাধের ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যা ২০২১ সালে বেড়ে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ হয়েছে। একই অপরাধ ২০২২ সালে আগের অবস্থানে এলেও ২০২৩ সালে বেড়ে ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে পর্নোগ্রাফি ধারণ ও অনলাইনে হ্যারাসমেন্টের মতো অপরাধ ২০২০ সালে ১৯ দশমিক ০৪ শতাংশ হলেও ২০২১ সালে কিছুটা কম ছিল। এ ধরনের অপরাধ ২০২২ সালে ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে তা বেড়ে ২৪ দশমিক ৭০ শতাংশে পৌঁছায়। চলতি বছরের গত দুই মাসে এ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, মোবাইল ব্যাংকিং-সংক্রান্ত প্রতারণা ২০২০ সালে ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ থাকলেও ২০২১ সালে ২৪ শতাংশের বেশি ছিল। অন্যদিকে ২০২২ সাল থেকে এ অপরাধ কমতে কমতে ২০২৩ সালে ১ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে ২০২০ সালে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, ২০২১ সালে ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ২০২২ সালে ২৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ৪২ দশমিক ৩৫ শতংশ। চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এ অপরাধের সংখ্যা ৫৩ শতাংশের বেশি।

গবেষণা যা বলছে

সাইবার অপরাধের ঘটনা পর্যালোচনা করে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন) ২০২৩ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছে, গত আট বছরের (২০১৫ থেকে ২০২২) সাইবার অপরাধের জরিপ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশে নতুন ধরনের সাইবার অপরাধের মাত্রা বাড়ছে। অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছে মানুষ। অ্যাপের মাধ্যমে ঋণের নামে ফাঁদের মতো অভিনব পদ্ধতিতে নানা ধরনের আর্থিক অপরাধের প্রবণতা বাড়লেও আইনের শরণাপন্ন হওয়ার প্রবণতা কমছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সাইবার অপরাধের ঘটনায় ২০১৮ সালে মামলার সংখ্যা ৬১ শতাংশ থাকলেও ২০২৩ সালে তা ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। ৫৫ শতাংশেরও বেশি ভুক্তভোগী সাইবার আইন সম্পর্কে জানেন না এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অপরাধ থেকে নিজেদের রক্ষা করার বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই।

গবেষণায় বলা হয়েছে, অন্যান্য বিভাগের তুলনায় ঢাকা বিভাগে প্রায় সব ধরনের সাইবার অপরাধের চিত্র তুলনামূলকভাবে বেশি আশঙ্কাজনক। ঢাকা বিভাগে সাইবার অপরাধের শতকরা হার প্রায় সবক্ষেত্রেই শীর্ষস্থানে। এসব অপরাধের মধ্যেও যে সাইবার অপরাধ সবচেয়ে বেশি সে রকম তিনটি হলোÑ অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার (১০.২২%), অনলাইনে বার্তা পাঠিয়ে হুমকি (১০.২২%), ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের আইডি হ্যাকিং (১০.২২%)। ঢাকার পর দ্বিতীয় শীর্ষ সাইবার অপরাধপ্রবণ বিভাগের স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম।

গবেষণায় বলা হয়েছে, বয়সভিত্তিক বিবেচনায় ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সি ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই ফেসবুক হ্যাকিং বা বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। শিশু ও কিশোররা সাইবার অপরাধের শিকার বেশি হচ্ছে। 

সাইবার অপরাধ বিশ্লেষণকারীরা বলছেন, ডিজিটাল নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ এবং অনলাইন পরিষেবার প্রসারের ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও সাইবার হুমকি এবং আক্রমণের জন্য ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ সরকার সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব স্বীকার করে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। আইনি কাঠামো বৃদ্ধি, সাইবার নিরাপত্তা নীতি প্রতিষ্ঠা, ডিজিটাল সম্পদ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রগতির জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা