× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মার্চের নক্ষত্রেরা

মনি জাহান

প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৭:১৮ পিএম

আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৩১ পিএম

মার্চের নক্ষত্রেরা

খ্যাতিমান কবি- লেখক, যারা মার্চ মাসে জন্ম নিয়েছেন, তাদের স্মরণে এ আয়োজন। এটি আমাদের নিয়মিত আয়োজন হিসেবে মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশিত হবে। যেখানে দেশ এবং বিদেশি লেখক থেকে বাছাই কিছু লেখকের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও কর্ম সম্পর্কে তথ্য থাকবে। এর মাধ্যমে সেসব লেখকের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাটুকু জানানো সম্ভব হবে


ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

 

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক। তিনি সংবাদ প্রভাকরের সম্পাদক ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই বাংলা কবিতাজগৎ মধ্যযুগীয় সীমানা অতিক্রম করে আধুনিকতার পথে পা বাড়িয়েছিল। তিনি গুপ্ত কবি নামেও পরিচিত ছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়সহ তাঁর পরবর্তী বহু সাহিত্যিক ঈশ্বর গুপ্তকে গুরু হিসেবে মানতেন। ঈশ্বরচন্দ্র বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে যুগসন্ধির কবি হিসেবে পরিচিত। কারণ তিনি সমকালের সামাজিক ও ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে কবিতা রচনা করলেও তার ভাষা, ছন্দ ও অলঙ্কার ছিল মধ্যযুগীয়। ঈশ্বরচন্দ্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি হলো ভারতচন্দ্র রায়, রামপ্রসাদ সেন, নিধুগুপ্ত, হরু ঠাকুর ও কয়েকজন কবিয়ালের লুপ্তপ্রায় জীবনী উদ্ধার করে প্রকাশ করা। পরবর্তীকালের বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দীনবন্ধু মিত্র, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ লেখকের জন্য একটি উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি করার কৃতিত্বও ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের।

 

অন্নদাশংকর রায়

 

ব্রিটিশ-ভারতের ওড়িশায় জন্মগ্রহণ করেন রায় বাবু। তার পূর্বপুরুষের আদি বসতি ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলায়। পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করে সংবাদপত্রের সম্পাদনা শিখতে হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষের কাছে যান তিনি। এ কাজ করতে তাঁর ভালো লাগেনি। তাই আবার পড়াশোনা শুরু করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইএ ও স্নাতক পাস করেন অন্নদাশংকর রায়। ১৯২৭ সালে আইসিএস পাস করে ইংল্যান্ডে যান সরকারি চাকরি করতে। সেখানে দুই বছর থাকাকালে তাঁর ধারাবাহিক ভ্রমণকাহিনি পথে প্রবাসে প্রকাশিত হয়। ১৯৩০ সালে বিয়ে করেন মার্কিনকন্যা অ্যালিস ভার্জিনিয়াকে। নাম রাখেন লীলা রায়। তাঁর স্ত্রী অনেক বাংলা বই ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন। এরপর দেশে ফিরে নদীয়া ও কুমিল্লা জেলার জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস আগুন নিয়ে খেলা, সত্যাসত্য, পুতুল নিয়ে খেলা। আত্মজীবনী বিনুর বই, পথে প্রবাসে ও জাপানে। এ ছাড়া তিনি অনেক প্রবন্ধ ও ছোটগল্প লিখেছেন।

 

আবু জাফর শামসুদ্দীন

 

আবু জাফর শামসুদ্দীন ১২ মার্চ ১৯১১ সালে বর্তমান বাংলাদেশের গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমদিকে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজে পড়াশোনা করে কলকাতায় চলে যান এবং সাংবাদিকতায় যোগ দেন। তিনি ছিলেন একজন প্রগতিশীল লেখক। পাশাপাশি সাংবাদিকের দায়িত্বও পালন করেছেন। উপন্যাস, ছোটগল্প ও মননশীল প্রবন্ধ লিখে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। তার রচিত পদ্মা মেঘনা যমুনা বাংলার সাহিত্যের একটি অনন্য গ্রন্থ। এ ছাড়াও তার রচিত বেশকিছু গ্রন্থ ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, মারাঠি, জাপানি ভাষায় অনুবাদ ও প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস পরিত্যক্ত স্বামী, মুক্তি, ভাওয়ালগড়ের উপাখ্যান, দেয়াল ইত্যাদি। শেষ রাত্রির তারা, রাজেন ঠাকুরের তীর্থযাত্রা, জীবন তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ। এ ছাড়াও তিনি সংস্কৃতি ও ইতিহাস, চিন্তার বিবর্তন ও পূর্ব পাকিস্তানি সাহিত্যসহ আরও অনেক প্রবন্ধ রচনা করেছেন। কর্মজীবনে তিনি বহু পুরস্কার পেয়েছেন। উপন্যাসে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এ ছাড়াও সমকাল, মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার ও ফিলিপস পুরস্কার পেয়েছেন।

 

রাজশেখর বসু

 

রাজশেখর বসু ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, অনুবাদক ও রসায়নবিদ। তিনি পরশুরাম ছদ্মনামে তার ব্যঙ্গকৌতুক ও বিদ্রূপাত্মক কথাসাহিত্য রচনা করেছেন। গল্প রচনা ছাড়াও স্বনামে প্রকাশিত কালিদাসের মেঘদূত, বাল্মীকি রামায়ণ, কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ বেদব্যাসকৃত মহাভারত, শ্রীমদভগবদগীতা ইত্যাদি ধ্রুপদি ভারতীয় সাহিত্যের অনুবাদগ্রন্থগুলোও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে রবীন্দ্র পুরস্কার ও ভারত সরকার পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করে। ১৯৫৫ সালে আনন্দীবাঈ ইত্যাদি গল্পগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন। পরশুরাম ১৬ মার্চ ১৮৮০ সালে ব্রিটিশ-ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার রিপন কলেজ থেকে বিএল পাস করে মাত্র তিনদিন আইন ব্যবসা করেছিলেন। ব্যবসার চেয়ে বিজ্ঞানচর্চা তাঁর বেশি ভালো লাগত। তাই তিনি আচার্য স্যার প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর একজন রসায়নবিদ হিসেবে সামান্য বেতনে চাকরিও শুরু করেছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ গড্ডলিকা, চলন্তিকা, কুটিরশিল্প ও ভারতের খনিজ।

 

বিমল মিত্র

 

সাহেব বিবি গোলাম, কড়ি দিয়ে কিনলাম, এই নরদেহ, গুলমোহর কিছু উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের নাম। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি উপন্যাস থেকেই নির্মিত হয়েছে সিনেমা। শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার হিসেবে তিনি ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন। ১৮ মার্চ ১৯১২ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন বিমল মিত্র। তিনি বাংলার পাশাপাশি হিন্দিতেও সাহিত্য রচনা করেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস চাই। প্রায় ৫শটি গল্প ও শতাধিক উপন্যাসের লেখক বিমল মিত্র তাঁর কড়ি দিয়ে কিনলাম গ্রন্থের জন্য ১৯৬৪ সালে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এ ছাড়াও বহু পুরস্কার ও সম্মান লাভ করেছেন তিনি।

 

সিকান্‌দার আবু জাফর

 

সিকান্‌দার আবু জাফর একজন বাঙালি কবি, সংগীত রচয়িতা, নাট্যকার ও সাংবাদিক। ১৯১৮ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন খুলনা জেলার তালা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতায় রিপন কলেজে যান পড়তে। ১৯৪১ সালে তিনি কাজী নজরুল ইসলামের নবযুগ পত্রিকায় যোগ দেন। এ ছাড়া দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক মিল্লাতেও চাকরি করতেন। আমাদের সংগ্রাম চলবেই তাঁর রচিত বিখ্যাত গান। দেশ বিভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। পঞ্চাশের দশকে রেডিও পাকিস্তানের শিল্পী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি সাহিত্য পত্রিকা সমকাল-এর প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ৫ আগস্ট সিকান্‌দার আবু জাফর মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি অনেক কাব্যগ্রন্থ, নাটক, উপন্যাস লিখেছেন। বৈরী বৃষ্টিতে, বাংলা ছাড়, তিমিরান্তিক তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। সিরাজউদ্দৌলা, মহাকবি আলাওয়াল, মাকড়সা উল্লেখযোগ্য নাটক। উপন্যাসের মধ্যে আছে মাটি আর অশ্রু, নতুন সকাল, জয়ের পথে ইত্যাদি। এসবের পাশাপাশি সেন্ট লুইয়ের সেতু, রুবাইয়াৎ ওমর খৈয়াম ও বারনাড মালামুডের যাদুর কলস তাঁর উল্লেখযোগ্য অনুবাদ গ্রন্থ। ১৯৬৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ১৯৮৪ সালে মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন।

 

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

 

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিটিশ-ভারতের উত্তর প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে সাহিত্য রচনা শুরু করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি সাহিত্য রচনা করতেন। তাঁর সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী শরদিন্দুর সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র। ১৯৩২ সালে সত্যান্বেষী উপন্যাসের মাধ্যমে ব্যোমকেশ বক্সীর আত্মপ্রকাশ হয়। ব্যোমকেশের ডায়েরী, দুর্গরহস্য, শজারুর কাঁটা তাঁর উল্লেখযোগ্য ব্যোমকেশ সিরিজের কাহিনি। তিনি অনেক ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনা করেছেন। কালের মন্দিরা, তুমি সন্ধ্যার মেঘ, শিবাজী আর সদাশিব তাঁর উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক উপন্যাস। এ ছাড়াও অনেক গল্পগ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। তাঁর অনেক উপন্যাস থেকে নির্মিত হয়েছে সিনেমা। মনচোরা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত সন্দীপ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্র। ব্যোমকেশ চরিত্রটি নিয়ে বাংলা এবং হিন্দি দুটো ভাষাতেই চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। ১৯৬৭ সালে তিনি রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৭০ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

 

ম্যাক্সিম গোর্কি

 

আলেক্সেই ম্যাক্সিমোভিচ পেশকভ আমাদের কাছে ম্যাক্সিম গোর্কি নামেই বেশি পরিচিত। তিনি নিজেই গোর্কি নামটি পছন্দ করেন। এর অর্থ তেতো। সমাজতান্ত্রিক বাস্তববাদী সাহিত্যের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৮৬৮ সালের ২৮ মার্চ রুশ সাম্রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। গোর্কির শৈশব কেটেছে খুব কষ্টে। মাত্র ৯ বছর বয়সে পিতাকে হারান। আশ্রয় নিলেন মায়ের সঙ্গে মামার বাড়ি। কিছুদিন পর মা আবার বিয়ে করলেন। মারাও গেলেন। বেঁচে রইলেন শুধু দাদা। কিন্তু তিনি তাঁর দায়িত্ব নিতে রাজি হলেন না। ফলে ১২ বছরের মাথায় দাদিকে খুঁজতে ঘর ছাড়েন গোর্কি। ১৮৮৭ সালে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। সেবার অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন- যেন নতুন জীবন পেলেন। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর পায়ে হেঁটে তিনি রাশিয়া ভ্রমণ করেন। ১৮৮২ সাল থেকে তিনি সাহিত্য রচনা শুরু করেন। তাঁর অনেক বিখ্যাত রচনার মধ্যে মা একটি কালজয়ী উপন্যাস। তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য পাঁচবারে মনোনীত হয়েছিলেন।

 

গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস

 

গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস একজন কলম্বীয় সাহিত্যিক। তিনি ১৯২৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন কলম্বিয়ায়। তবে জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন মেক্সিকো ও ইউরোপের বিভিন্ন শহরে। ১৯৮২ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর লেখা নিঃসঙ্গতার একশ বছর খুবই জনপ্রিয়। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের সবচেয়ে আলোচিত, সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন মার্কেস। জীবনের শেষ দুই যুগ তিনি ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচেছিলেন। মার্কেসের জীবনে সাফল্য আর খ্যাতির পেছনে সবচেয়ে বেশি যার অবদান, তিনি তাঁর স্ত্রী মের্সেদেস বার্চা। মার্কেসের বিখ্যাত উপন্যাস লা মালা ওরা, সিয়েন আনিওস দে সোলেদাদ, দেল আমোর ই ওত্রোস দেমোনিওস ইত্যাদি। নোবেল পুরস্কারসহ এ রকম আরও প্রায় দশটি পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি।  

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা