সজল রায়
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:৫৯ এএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০১:০০ এএম
সজল রায়
আকাশ ছাপিয়ে
থেমে যায় স্তনন—
নিসর্গ কোরাস,
একদিন থেমে যায় সব; সব
চাওয়ার নিদারুণ
—উদ্দেশ ।
নেহাত আমি আগন্তুক।
পুবের আকাশ ছাপিয়ে—
তবু
গেরস্থে তিরতির বেড়ে ওঠে
—প্রণয়-ঋণ
অবিমিশ্র দ্যুতির বিচ্ছুরণ;
তখন, রোদ্দুরে ঝরে—
উচ্চকিত মানবিক বোধের
—প্রস্তুতি ।
কনকনে হাওয়া
নীহার মোশারফ
এখানে গন্ধম ছিটাবেন না
যুবতিদের আসা-যাওয়া হয়।
কালের খেয়ায় সভ্যতা হামাগুড়ি দেয়
যতিন মাঝির ঘরে নয় সন্তান।
অতঃপর মন্দিরা হাঁটে বহু পথ পরিক্রমায়...
হাজার ইতিহাস তুলে রাখে শিকেয়
আমি মাতাল হই ঝরা পাতার ঘ্রাণে।
প্রাণে জাগে কথা, একটু একটু ব্যথা
সে ছাড়া কেমন লাগে? প্রচণ্ড শীতে
দূরে কনকনে হাওয়া, ভাটিয়ালি গান
চিনচিনে সুর বয় পাতায় পাতায়
তখনো মাঘের ঘনত্ব অনেক।
নিলাম
রাজিয়া সুলতানা ঈশিতা
আমাকে মাঝেমধ্যেই নিলামে তোলা হয়; শরীরী দামে বিক্রি হয়ে যাই প্রায়শই
কোনো রাতে। এখানে ইচ্ছে-অনিচ্ছের কোনো দাম নেই, মূলত বিনামূল্যে বিক্রি হয়ে যায় আমার
শরীর, সম্ভ্রম। ভুল বললাম। আমার কোনো ইচ্ছে নেই, অনিচ্ছে নেই, সম্ভ্রম নেই। আদতে আমার
কোনো দামই নেই। আমি আবার বিক্রি হব কী? আমি যেন প্রতিদিনের বিনামূল্যে বিক্রীত এক,
পরিচিত নগ্ন সম্ভ্রমহীন বোবা শরীর। প্রতিদিন নিলাম থেকে একই ব্যক্তি, খরিদ করে নিয়ে
যায়। এ যেন তাদের সবার ন্যায্য অধিকার। তাদের শরীরী অধিকার।
রাতে আবারও নিলাম বসবেÑ আমি আবারও বিনামূল্যে বিক্রি হয়ে যাব।
শীতের কবিতা
মিসির হাছনাইন
পূর্ণিমার চাঁদ মিথুন রাশিতে আটকে গেছে।
হিজল বাদামের বনে আমি একা, শূন্য ঘরের
খোলাই আছে হিজলপাতার দুয়ার
চাঁদের গায়ে লেগে গেছে কলঙ্কের দাগ।
কী করে মুছব ওই কলঙ্কের দাগ?
মাতালরা অন্ধকারে ডুবে যায়
মুছে যায় ঠোঁটের লাল রং
চাঁদের গায়ে দেখতে পাই হিজলপাতার জং।
মিথুন রাশি মৈথুন করে পূর্ণিমার চাঁদ
খুলে রেখেছি হিজলপাতার দুয়ার
তুমি এলে তবে অমাবস্যা নামবে
ধীরেনিশ্চলতার উঠানে...।
গোপন গল্পের অনুবাদ
রবিউল রতন
জংধরা দরোজায় টোকা দিচ্ছে কেউ
ঘ্রাণ পাচ্ছি ফুলের ভালোবাসার
আজ কোথাও কি
ভীষণ অস্থির কেউ
গোপন জানালায় তার শীতের রোদ
নড়েচড়ে একলা লাগছে
তবে কেন বলছে না আমায় কখনো
যদি মনে পড়ে
কুয়াশাভরা রাত্তিরে এসো,
তার আঙুলের স্পর্শ কী গভীর!
রোদ জাগায় ভোরের ঘুমে,
দরোজায় অনেক কথার ঢেউ
লাজুক হাসির ঠোঁটে
অনন্ত গানের সুর
কেউ না কেউ, গোপনে