জবি সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৫৮ পিএম
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:০৩ পিএম
ইউজিসির ইনোভেশন উইংয়ের দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত। ছবি : প্রবা
২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় চলমান সংকট দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ইউজিসির ইনোভেশন উইংয়ের দিনব্যাপী কর্মশালায় এ আহ্বান জানান তিনি।
সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রমে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীবান্ধব করার পরামর্শ দেন তিনি।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ‘নলেজ ডমিনেটস দ্য পিরিয়ড অব ফোরআইআর অ্যান্ড আইওটি বিজনেস অ্যাপ্লিকেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশনের আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সন ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. সৈয়দ আক্তার হোসেন।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তিপরীক্ষায় অনাকাঙ্ক্ষিত সংকট তৈরি হয়েছে। ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে এই সংকটের কার্যকর সমাধান বের করতে হবে।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছে ভর্তির ষষ্ঠ মেধাতালিকা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ মাইগ্রেশন চালু ছিল। তবে সপ্তম মেধাতালিকা প্রকাশের পর প্রাথমিক ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবে না বলে জানায় টেকনিক্যাল কমিটি। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। আর এতেই ভালো নম্বর পেয়েও অনেক শিক্ষার্থীই গুচ্ছে প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষেও ভর্তি হতে পারছেন না। দেখা গেছে একজন শিক্ষার্থী দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ মেরিটে এসে তুলনামূলক কম ভালো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন। সেখানে তিনি ভর্তি হয়ে গেছেন। মাইগ্রেশন চালু থাকলে ৮ম বা নবম মেরিটে এসে আরেকটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো সাবজেক্টে চান্স পেলে সেখানে মাইগ্রেশন করে যেতে পারতেন। মাইগ্রেশন বন্ধ করে দিলে তাকে আগে ভর্তি হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়েই থাকতে হবে। এতে ভালো নম্বার নিয়েও অনেকেই ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না।
শিক্ষার্থীরা যেন অনাকাঙিক্ষত ভোগান্তির শিকার না হয় সেজন্য দ্রততম সময়ের মধ্যে পুরো ভর্তি প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।