চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৩১ পিএম
সংঘর্ষে জড়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। প্রবা ফটো
পূর্ব বিরোধের জেরে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এতে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন। হল প্রভোস্টের কক্ষসহ অন্তত ৮টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পৌনে ৬টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়।
দুটি পক্ষই শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বিজয় গ্রুপের সদস্য বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এক পক্ষ আলাওল হল ও এএফ রহমান হল আর অপরপক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান করে।
এর আগে আলাওল হলে কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১ টার দিকে প্রথম দফায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। তখন ১৫ জন আহত হয়। ওই ঘটনার জের ধরে আজ আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২০ ফেব্রুয়ারি রাতের সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। আজ আলাওল হল ও এএফ রহমান হলে অবস্থানরত বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থানরত কর্মীদের উপর আকস্মিক হামলা চালায়। এর পরপরই দুই পক্ষ পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলের ছাদে ও অপরপক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলের মাঠে অবস্থান নিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় আলাওল হল ও এফ রহমান হলের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে প্রবেশ করে প্রভোস্টের কক্ষসহ মোট ৮টি কক্ষ ভাঙচুর করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজয় গ্রুপের সোহরাওয়ার্দী হল অংশের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম সবুজ বলেন, কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই প্রতিপক্ষের কর্মীরা তাদের ওপর জামাত-শিবির স্টাইলে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা প্রভোস্টের রুম, আবাসিক শিক্ষকদের রুমসহ অনেকগুলো রুম ভাঙচুর করে।
আলাওল হলে অবস্থানরতদের নেতা শাখা ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক নয়ন চন্দ্র মোদক বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের কর্মীরা পথ আটকে আমাদের ছেলেদের মারধর করে। এরপর আবারও মারধর করার হুমকি দিয়ে আসছে। আজ তারা অস্ত্র নিয়ে আলাওল হলের দিকে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলতে থাকে। পরে আমাদের ছেলেরা প্রতিবাদ করলে তারা হামলা চালায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে দুই পক্ষকে হলে পাঠিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। সংঘর্ষের সময় উত্তেজিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল প্রভোস্টের কক্ষসহ কয়েকটি কক্ষে ভাংচুর করেছে।