বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩৬ পিএম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৪৫ পিএম
ছাত্রী নির্যাতনে জড়িত থাকায় আবাসিকতা হারানো ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মী। সংগৃহীত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত পাঁচ শিক্ষার্থীর আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এদের আগামী ১ মার্চ দুপুর ১২টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
এদিন হল প্রভোস্ট কার্যালয়ে
অধ্যাপক শামসুলের সভাপতিত্বে তদন্ত কমিটি কর্তৃক দাখিল করা প্রতিবেদন পর্যালোচনা সভায়
উপস্থিত ছিলেন হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মো. আহসানুল হক, ড. মো. নূরুল ইসলাম, ইসরাত জাহান,
আসমা সাদিয়া রুনা ও মৌমিতা আক্তার। ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা সভায় প্রভোস্ট ও আবাসিক
শিক্ষকদের সর্বসম্মতিক্রমে অভিযুক্তদের আবাসিকতা ও হল সংযুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়েছে বলে জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিকতা
বাতিল হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স
অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের
হালিমা খাতুন উর্মী এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান।
এ বিষয়ে দেশরত্ন শেখ
হাসিনা হলের প্রভোস্ট ড. শামসুল আলম বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তাই আমরা
তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে আবাসিকতা বাতিলের সিদ্ধান্ত
নিয়েছি।’
১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক ছাত্রীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা সেদিন তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি তদন্ত করছে। তিন কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে।