বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩ ১৫:৪৮ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫১ পিএম
ছাত্রী নির্যাতনে জড়িত থাকা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মী। সংগৃহীত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফুলপরী খাতুন নামে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (১ মার্চ) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সানজিদা চৌধুরী অন্তরা (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), তাবাসসুম ইসলাম (কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), হালিমা খাতুন ঊর্মি (কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), ইসরাত জাহান মিম (কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) এবং মোয়াবিয়া জাহানকে (কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ও বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে নির্যাতনের ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন বলেন, ‘অভিযুক্তরা বহিষ্কারের যোগ্য। তাই তাদের সাথে এই আচরণ করা হচ্ছে।’
ক্যাম্পাসে ফেরার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেই রাতগুলোতে আমার ওপর যে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে তারা, ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী বহিষ্কার নয়, আমি তাদের স্থায়ী বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল চাই। তা নাহলে ক্যাম্পাসে ফিরলে আমাকে মেরে ফেলার আশঙ্কা থাকবে।’
আরও পড়ুন: পাঁচ ছাত্রীকে বহিষ্কার ও প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের নির্দেশ হাইকোর্টের
ক্যাম্পাসে কবে ফিরতে চান প্রশ্নে বলেন, ‘আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেবে প্রশাসন এমন প্রতিশ্রুতি দিলে ক্যাম্পাসে ফিরে যাব।’
১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক ছাত্রীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা সেদিন তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি তদন্ত করছে। তিন কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে।