প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১০:৪০ এএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১১:২৭ এএম
এডুটিউব কুইজ কনটেস্ট-২০২২ এর চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ড অনুষ্ঠানে অতিথিরা। প্রবা ফটো
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (বিডিইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেছেন, ‘যেকোনো ধরনের যন্ত্র কিংবা সফটওয়্যার আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করতে চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশেই সকল ধরনের যন্ত্র তৈরি হবে। এই দেশ থেকেই আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিব।’
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘এডুটিউব কুইজ কনটেস্ট-২০২২’ এর চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিযোগিতার আয়োজক ও এথিক্স অ্যাডভান্স টেকলোনজি লিমিটেডের (ইএটিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মুবিন খান।
উপাচার্য বলেন, ‘ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যই হচ্ছে নিজেদের প্রযুক্তি নিজেদের তৈরি করা। দেশের বাইরে থেকে নয়, বরং নিজেদের প্রযুক্তি নিজেরাই তৈরি করার সক্ষমতা অর্জনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তোমরা যারা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এখানে এসেছ, সবসময় চিন্তা করতে হবে তোমরাই পারবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে। যদি হাল ছেড়ে দাও তাহলে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। যদি নিজেকে সঠিক পথ দেখিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পার তাহলেই বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে।’
কুইজ কনটেস্ট আয়োজন নিয়ে আয়োজক এমএ মুবিন খান বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে মোবাইল ডিভাইসকে ভালো কাজ ও জ্ঞান-অর্জনের জন্য ব্যবহার করে, এই বিষয় মাথায় রেখে এডুটিউব কুইজ কনটেস্টের আয়োজন করছে। এ সময় আগামী পাঁচ বছরে এই প্রতিযোগিতা দেশের সব স্কুল-কলেজে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য একটি শিক্ষা-সামাজিক আন্দোলন তৈরির মধ্য দিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা। আমাদের কিশোররা যেন মোবাইল ও ইন্টারনেটের নেতিবাচক অংশ থেকে দূরে এসে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং গঠনমূলক কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে এই লক্ষ্যেই আমাদের এই কুইজ আয়োজন।’
গত ১০ মে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে এডুটিউব কুইজ কনটেস্টের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এডুটিউব কুইজ কনটেস্ট-২০২২ এর টপ ১৬ ও টপ ৮ দলগুলো নিয়ে এই কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় রাউন্ডে উত্তীর্ণ আটটি বিভাগের দুটি করে সেরা দল টপ ১৬ পর্বে অংশ নেয়। টপ ১৬ থেকে সেরা আটটি দল টপ ৮ পর্বে অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা শেষে টপ ৮ থেকে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের জন্য চারটি দল- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘অনন্য অন্নদা’, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘ট্রোজান’, ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘ঝিনুক ২২’ ও পটুয়াখালীর গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ‘দ্য টেলেঞ্জার’ দল নির্বাচিত হয়।
টপ ১৬ থেকে টপ ৮ পর্বে উত্তীর্ণ বাকি দলগুলো হচ্ছে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ‘অদম্য ৩’, নওগাঁ কৃষ্ণধন (কে.ডি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘কেডি কুইজারস স্কোয়াড’, শ্রীমঙ্গলের ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘ফেলুদা’, ও ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের ‘এমজেডএস ২২’ কুইজ টিম। টপ ১৬ পর্ব থেকে বাদ পরা আটটি দলকে পঁচিশ হাজার টাকা করে, টপ ৮ পর্ব থেকে বাদ পরা চারটি দলকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার ও সনদপত্র দেওয়া হয়েছে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণদের নিয়ে গ্র্যান্ড ফিনালে পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়, যাতে চ্যাম্পিয়নদল পাঁচ লাখ টাকাসহ চারটি দল ১১ লাখ টাকা পুরস্কার পাবে।
প্রতিযোগিতার সঙ্গে রয়েছেন বিশ্বব্যাংক নলেজ পার্টনার, টেকনোলজি পার্টনার হুয়াওয়ে ও স্ট্রে্টেজি পার্টনার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।