বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৭:৩৮ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫১ পিএম
খুবির ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের রজতজয়ন্তীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শোভাযাত্রা, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (৩ মার্চ) সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে অংশ নেয় সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। পরিণত হয় মিলনমেলায়।
শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিকন মেডিকেয়ারের চেয়ারম্যান এবং বিকন ফার্মাসিউটিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ এবাদুল করিম এমপি।
তিনি বলেন, ’দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ফার্মেসি শিক্ষার প্রসারের ফলে এখন বছরে কয়েকশ গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে। এরমধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েটরা দেশের ওষুধশিল্পসহ নানা পেশায় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ’এখন আমরা ওষুধশিল্পে ভালো করছি। কিন্তু এ অবস্থায় বসে থাকলে চলবে না। আমাদেরকে ফার্মেসি শিক্ষা ও গবেষণার ব্যপ্তি ঘটাতে হবে। নতুন নতুন দিকে গবেষণা করতে হবে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অভিলক্ষ্য অর্জনে ফার্মেসির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এখন ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশন বাড়াতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে এগোতে হবে। আমাদের ফার্মেসি শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবনা বিশ্বে আরও অবদান রাখতে পারে।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ’খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি ডিসিপ্লিন শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এখানকার গ্র্যাজুয়েটরা দেশবিদেশে সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করেছে। প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তন, মানোন্নয়ন এবং গবেষণায় জোর দেওয়ার যে তাগিদ দিচ্ছেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় তা অনুধাবন করে ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের সহসভাপতি এম মোসাদ্দেক হোসেন। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের সাবেক সহসভাপতি, বিশিষ্ট লেখক ড. সুভাষ সিংহ রায় এবং রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. সাইফুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. মো. ইকবাল আহমেদ এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ডিসিপ্লিনের প্রতিষ্ঠাতাপ্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেজ সরদার। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন ফার্মেসি ডিসিপ্লিন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান এবং সহকারী অধ্যাপক সুষ্মিতা পাল।
ওষুধশিল্পে সবিশেষ অবদান রাখায় ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের পক্ষ থেকে বিকন মেডিকেয়ারের চেয়ারম্যান এবং বিকন ফার্মাসিউটিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ এবাদুল করিমকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান এবং প্রাক্তন ডিসিপ্লিন প্রধানদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, অ্যালামনাই ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।