নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ০০:৫৭ এএম
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ফাইল ফটো
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তৃষা সাহার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। বিভাগের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক উপাচার্য ও ডিন বরাবর গত ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় শনিবার (৪ মার্চ)।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তৃষা সাহা ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হলেও কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত নেই। বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় টার্মের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি হয়েও নেননি ফাইনাল ভাইভা পরীক্ষা। এ ছাড়া তিনি স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে একাডেমিক কমিটির পরপর চারটি সভায়ও উপস্থিত হননি। তার কাছে এর কারণ জানতে চাওয়া হলে জিয়াউল হকসহ শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।
জিয়াউল হক বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ-নিষেধও শোনেন না তৃষা সাহা। সব নোটিসও উপেক্ষা করছেন। ছুটি না নিয়ে দিনের পর দিন অনুপস্থিত রয়েছেন। তার খামখেয়ালিতে আটকে আছে শিক্ষার্থীদের ফল। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। তাই লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’
অভিযুক্ত তৃষা সাহা মোবাইলে বলেন, ‘অভিযোগের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে জানান, তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দিদার উল আলমকে ফোন দিলে ডেপুটি রেজিস্ট্রার খালেদ মেহেদী রিসিভ করে বলেন, ‘স্যার ব্যস্ত আছেন, পরে ফোন করেন। পরে একাধিকবার ফোন করলেও উপাচার্য ধরেননি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ব্যাপারে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন এসএম মাহবুবুর রহমানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
এসএম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগে অনেকগুলো বিষয় থাকায় তদন্তে সময় লাগছে। কাজ শেষ হলে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’