ফেনী পলিটেকনিক
ফেনী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ২০:১২ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩ ২০:৩২ পিএম
ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ছবি : সংগৃহীত
ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের গ্রুপিং নতুন নয়। বুধবার (১ মার্চ) আধিপত্য বিস্তারের জেরে সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ। এতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান শিপন মিশু ও সহসভাপতি শুভসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। রক্তক্ষয়ী ওই সংঘাতের পর বেরিয়ে আসছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের নানা তথ্য। বরাদ্দ না থাকলেও শহীদ শাহাব উদ্দিন ছাত্রাবাসের দুটি কক্ষের দখল নিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি মিশু এবং সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন পারভেজ চৌধুরী।
এই দুই নেতার অনুসারীদের দাপটে রীতিমতো অসহায় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রাবাসের নিয়ন্ত্রণ নেই সুপার ও কেয়ারটেকারদের হাতে।
কুমিল্লার বুড়িচং থানার বাসিন্দা মিশু পাওয়ার ডিপার্টমেন্টের ষষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী। এক সময় তার নামে সিট বরাদ্দ থাকলেও এক বছর লস হওয়ায় সেটি বাতিল করে ইনস্টিটিউট প্রশাসন। সিভিল ষষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী পারভেজেরও ছাত্রাবাসে সিট বরাদ্দ নেই। কিন্তু তারা দুজনই যথাক্রমে শহীদ শাহাব উদ্দিন ছাত্রাবাসের ২০৪ ও ২০৭ নম্বর কক্ষে থাকছেন দীর্ঘদিন ধরে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ইনস্টিটিউটের কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে ছাত্রাবাসের দুটি কক্ষের দখল নিয়েছেন দুই ছাত্রলীগ নেতা। দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় তারা ও তাদের অনুসারীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়। মিশু ও পারভেজ ছাত্রাবাসে খাওয়া বাবদ কোনো অর্থ পরিশোধ করেন না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার দুপুরে ছাত্রাবাসসংলগ্ন মুক্তমঞ্চের সামনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ছাত্রাবাসের সুপারের দায়িত্বে আছেন মেকানিক্যাল বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন, ’এটি নতুন নয়। তাদের দুজনের সিট বরাদ্দ না থাকার বিষয়টি ছাত্রলীগের জেলা পর্যায়ের নেতারাও জানেন।’
ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী প্রদীপ্ত খীসা জানান, নিয়মবহির্ভূতভাবে মিশু ও পারভেজ ছাত্রাবাসে থাকার বিষয়টি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হবে। এখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে। তাই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা কাম্য।