বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১৮:৫১ পিএম
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১৯:০৭ পিএম
বৃহস্পতিবার ৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। প্রবা ফটো
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির নেতাকর্মীরা পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনটি হয়।
নেতাদের দাবিগুলো হলো—প্রক্টরের পদত্যাগ, হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনি পরামর্শক নিয়োগ করতে হবে। একই সঙ্গে অছাত্র, বহিরাগত ও একাধিক মামলার আসামিদের হলে ওঠা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর (এনায়েত উল্লাহ ও সালমান চৌধুরী) সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল স্তরের স্টেকহোল্ডারদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।
এ ছাড়াও নেতারা তিনটি কর্মসূচি ঘোঘণা করেছে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিচারের দাবিতে প্রতিকী প্রতিবাদ মিছিল, আগামী রবিবার (১২ মার্চ) মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং সোমবার বিক্ষোভ মিছিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সভাপতি রাফিউল আলম দীপ্ত, কাজী নজরুল ইসলাম হলের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হাসান পলাশ, নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের সভাপতি ইসরাত জাহান জেরিন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ ও একই হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আজকের একটা সংবাদ সম্মেলনের লাইভ দেখলাম, তাদের দাবিগুলো যদি খেয়াল করে দেখা যায়, গতকালকের হামলার অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি না জানিয়ে সব দোষ প্রক্টরের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আমার বিরুদ্ধে তাদের নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি যদি ইন্দনদাতা হয়ে থাকি তাহলে তা প্রমাণ করতে হবে। গতকালকের ঘটনা ঘটছে ক্যাম্পাসের সামনে। আর যারা হামলা করেছে তারা সবাই বহিরাগত। সেক্ষেত্রে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে আমি কোনো পদক্ষেপ নিতে পারব না। এটার পদক্ষেপ নিবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
বুধবার সদ্যবিলুপ্ত কমিটির তিন নেতাকে মারধর করে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী একটি পক্ষের নেতাকর্মীরা। এর প্রতিবাদে ওইদিন বিকাল ৫টা থেকে অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে নেতাকর্মীরা। দেড় ঘণ্টা পর কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় তারা।