চাঁদপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৮:২৮ পিএম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩ ২১:০৪ পিএম
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের ছাত্র মো. নাফিস উল হক সিফাত। প্রবা ফটো
বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) স্নাতক (সম্মান) কোর্সে পড়ার জন্য চূড়ান্তভাবে ডাক পেয়েছেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের ছাত্র মো. নাফিস উল হক সিফাত। তিনি এ কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। এইচএসসি পাসের আগেই এমআইটিতে চান্স পাওয়ায় নাফিস নিজেও অবাক হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে কলেজে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নাফিসের প্রশংসা করে বলেন, ‘নাফিস আমাদের গর্ব। আশা করি, সামনের দিনগুলোতে সে আরও এগিয়ে যাবে। তার সাফল্য কামনা করি।’
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসিত বরণ দাস বলেন, ‘নাফিস খুবই মেধাবী ছাত্র। সে আমাদের কলেজের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। এ বছর সে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। নাফিস এমআইটিতে চান্স পেয়েছে। খুব কোয়ালিফাইড হলে ওই ছাত্র এইচএসসি পাস করল কি করল না- বিশ্বের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে অনেক ক্ষেত্রে সেটি মুখ্য বিষয় নয়। তাদের কাছে মেধাই গুরুত্ব পায়। অতি মেধাবীদের তারা এভাবেই বেছে নেয়।’
তিনি বলেন, ’নাফিসের এ অর্জন দেশের জন্য গর্বের বিষয়। কারণ কতটা মেধাবী হলে এখনও একটি ছেলে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেনি, অথচ তাকে এমআইটিতে ভর্তি হওয়ার জন্য ইনভাইট করা হয়েছে।’
নাফিস এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিকস (আইওআই) বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন।
এমআইটির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ কীভাবে অর্জন হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে নাফিস বলেন, ‘কোনো কিছুই আসলে অসম্ভব নয়। চেষ্টা থাকতে হবে, আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। ওরা আসলে দেখতে চায় পড়ালেখায় কতটা ভালো, মানুষ হিসেবে কেমন, কোনো বিষয়ে আগ্রহ আছে কি-না শিক্ষার্থীর, কীভাবে সমস্যার সমাধান করছে ইত্যাদি।’
নাফিস বলেন, ‘আমি অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিকসে ব্রোঞ্জ পদক লাভ করায় তারা আমাকে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করেছে। এমআইটিতে কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে আছে। আমি সবার দোয়া চাই। বাংলাদেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই।’
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নাসিফ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আহ্বান হলো- ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে। পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিসগুলোতে নিজেদের যুক্ত রাখতে হবে।’
নাফিস বলেন, ’এমআইটিতে যারা আবেদন করেন তাদের সবাইকে একটা নিজস্ব পোর্টাল দেওয়া হয়। এই পোর্টালের মধ্যে রেজাল্টসহ অন্যান্য সব আপডেট দেওয়া হয়। আমি চিঠিটি পেয়েছি ১৫ মার্চ সাড়ে ৪টার দিকে।’
তিনি বলেন, ’এমআইটিতে প্রতিবছরই বাংলাদেশ থেকে দুই-একজন করে চান্স পায়।’