বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:৫৯ পিএম
ভাস্কর্যের মাধ্যমে ২৫ মার্চের কালরাত্রির ভয়াল দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
চারুকলা অনুষদের দক্ষিণ চত্বরে যেতেই দেখা গেল মানুষের কঙ্কাল, মাথা, হাত, পা ও অন্যান্য অঙ্গ খণ্ডবিখণ্ড হয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। গর্ত, ডোবা সব জায়গায় লাশ। এভাবেই ভাস্কর্যের মাধ্যমে ২৫ মার্চের কালরাত্রির ভয়াল দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় দেড় শতাধিক ভাস্কর্যের মাধ্যমে একাত্তরের সেই ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরা হয়। তাছাড়া বধ্যভূমিতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার যন্ত্রণা অভিনয় করে দেখান চারুকলার ছয় শিক্ষার্থী। এস এম মুরাদ, শাহনেওয়াজ শিশির, ইশরাত জাহান স্বপ্নীল, শুভাশীশ বৈরাগী, সায়ন্তণী সরকার শিখী, সানজিদা ইসলাম মীম। ১০ মিনিটের প্রতীকী গণহত্যার চিত্র তুলে ধরার পর সতীর্থরা তাদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে অভিনন্দন জানান।
বেলা সোয়া ১০টায় প্রদর্শনীস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাহমুদ হোসেন। সাথে ছিলেন উপ-উপাচার্য মোসাম্মৎ হোসনে আরা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ডিন নিহার রঞ্জন সিংহ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস। ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের প্রধান মো. রকিব হাসান এই আয়োজনের উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় একটি বধ্যভূমির ওপর দাঁড়িয়ে। রক্তস্নাত সেই বধ্যভূমি ও গণহত্যা সামনে রেখে মৃত্যুপূরাণ নামে একটি প্রদর্শনীতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।’
এ সময় ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দেওয়ার দাবি জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এত কম সময়ে এত মানুষ হত্যার ঘটনা কোথাও ঘটেনি, যা ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে ঘটেছিল।’ তিনি বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় একাত্তরের বধ্যভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা সব সময় সেই স্মৃতি ও আবেগ ধারণ করি এবং শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।’ গণহত্যা ও বধ্যভূমির চিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি চারুকলার শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান।