বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৩ ২১:৫৩ পিএম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৩ ২২:২০ পিএম
হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ঈশা খাঁ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফকির আজমল হুদার পদত্যাগের বিক্ষোভ করেছেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের বিনা শর্তে পদত্যাগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।
রবিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈশা খাঁ হলের প্রধান ফটকের সামনে এই বিক্ষোভ করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, হল প্রভোস্টকে নিয়মিত হলে পাওয়া যায় না। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে তাকে বিভাগীয় চেম্বারেও পাওয়া যায় না। এ ছাড়া হলে কৃত্রিম সিট সংকট, হল নির্মাণ ও সংস্কার কাজে অসংগতি রয়েছে। এসব সমস্যা নিরসনে প্রভোস্টের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এসব বিষয়ে অভিযোগ করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ আচরণ করা হয়। এমনকি তিনি গ্রেপ্তার করার হুমকিও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ঈশা খাঁ হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, ‘আজ স্বাধীনতা দিবসে হলের ব্যবস্থাপনায় প্রীতি খেলাধুলা ও পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হল প্রভোস্টকে ফোন দিলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন এবং গ্রেপ্তার করার হুমকি দেন।’
হলের আরেক শিক্ষার্থী রেজওয়ান বলেন, ‘হলে বিদেশি (নেপাল) শিক্ষার্থীদের তিনটি কক্ষের দুটিতে ছয়জন শিক্ষার্থী থাকে। অন্য কক্ষটি তারা খাওয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করে। আমাদের হলের সিট (আবাসন) না পাওয়া শিক্ষার্থীদের ওই কক্ষে দেওয়ার কথা বললে প্রভোস্ট আমাদেরকে বাধা দেন। তিনি আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।’
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফকির আজমল হুদা বলেন, ‘আমার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিয়মিত হলে যাই। হলে সারাদিন কাজ থাকে না আমার। প্রয়োজন অনুযায়ী হলে যাওয়া হয়। বিদেশি শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য তাদেরকে আলাদাভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তারা ব্যতীত আর কেউ থাকতে পারবে না।’
হল সংস্কার ধীরগতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হল নির্মাণ ও সংস্কার কাজ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। ছয় মাস আগে তারা হল সংস্কারের সময় ভাঙচুর করে। পানির পাম্প নতুন সংযোগ করা হয়েছে এবং নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। অছাত্র হয়ে কেউ আমার কাজে বাধা দিলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। আমি যদি আমার কাজ সঠিকভাবে পালন করতে না পারি তাহলে অবশ্যই পদত্যাগ করব। আর যে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী নয় তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি উপাচার্যকে জানিয়েছি। তিনি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আছেন। ফিরে এলে আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টির সমাধান করা হবে।’