বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩ ০৯:৩৯ এএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৪:২২ পিএম
সংঘর্ষে আহত এক শিক্ষার্থী। প্রবা ফটো
ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তবে হামলার সময় পুলিশের নীরব ভূমিকা ছিল বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
সোমবার (২৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে গেন্ডারিয়ার মুরগিটোলা মোড় এলাকায় প্রথম দফা ও রাত ১১টার দিকে দ্বিতীয় দফা এ সংঘর্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। তখন এক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় দুজনকে আটক করে নিয়ে যায় সূত্রাপুর থানা পুলিশ। তাদের থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে আবু সুফিয়ান ও শিহাব নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় মুরগিটোলা মোড়ে চা খেতে গেলে হঠাৎ ৫০-৬০ জন যুবক এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ওই দুই শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায় তারা। এ সময় তাদের চিৎকারে আশপাশে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা হয়।
হামলায় আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ‘চা খাওয়ার জন্য আমার বন্ধুর সঙ্গে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ স্থানীয় কয়েকজন এসে আমাদের আটকে কোথায় থাকি জিজ্ঞাসা করে। বানিয়ানগর থাকি বলতেই আমাদের কয়েকজন এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। আমরা আগের ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।’
ঘটনার সময় পুলিশের নীরব ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশ এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালেও পাশে অবস্থান করা ১০ জনের পুলিশ ঘটনা দেখেছে। তারা এগিয়ে আসেনি।
হামলার শিকার শিহাব নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের মারধর করার পর পুলিশ এসে থামায়। কিন্তু বলতে থাকে তোরা জগন্নাথের স্টুডেন্ট এখানে আসছিস কেন? এ কথা বলেই পুলিশ আমাকে মারতে থাকে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেছি। থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে। আমাদের শিক্ষার্থীর ওপর পুলিশ সদস্যের হামলার ভিডিওচিত্রও ওসিকে পাঠিয়েছি।’
জানতে চাইলে গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, ‘ঘটনা সূত্রাপুর থানার অধীনে। তবে ঘটনার সময় সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা ছিল। তারা মারামারি থামিয়ে দিয়েছে। পরে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।’
সূত্রাপুর থানায় ওসি মো. মইনুল ইসলাম বলেন, কেউ অভিযোগ করেনি। যে দুজনকে আটক করা হয়েছিল তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তাই মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’