টঙ্গী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩ ০০:৫৮ এএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩ ১১:২৩ এএম
সংগৃহীত ফটো
দেশের শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার ওয়েবসাইট একটি কোম্পানির নামে থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে অবিলম্বে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টার কথা জানিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে মাদ্রাসার নামের বদলে ‘ইনফোটেক সলিউশন ইএমএস’-এর নাম ভেসে ওঠে, যা বিভ্রান্তিকর। কোনো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তার নিজস্ব বিষয়। সেখানে অন্য কোম্পানির নাম অপ্রত্যাশিত। ভিন্ন পরিচয়ে ওয়েবসাইট পরিচালনার কারণে যেকোনো বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঝুঁকিতে পড়তে পারে প্রতিষ্ঠানের তথ্যগত নিরাপত্তা।
জানা গেছে, মাদ্রাসাটিতে মো. পাশা বিদ্যুৎ নামে একজন আইসিটি শিক্ষক ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের নামে মাদ্রাসার ওয়েবসাইট তৈরি করেন। ২০১৮ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে গেলেও এখনও ওয়েবসাইট তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালনা করছেন। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনেও সমাধানের ব্যবস্থা নেয়নি।
মাদ্রাসার কামিল প্রথম বর্ষের ছাত্র নাজীব মাহমুদ বলেন, আমাদের মাদ্রাসা দেশের অন্যতম বৃহৎ একটি মাদ্রাসা। এটির সুনাম, নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা আমাদের হাতেই থাকতে হবে। ওয়েবসাইটে কোনো কোম্পানির নাম ফলাও করে প্রচারের সুযোগ নেই।
আরবি বিভাগীয় সিনিয়র প্রভাষক ড. মোহাম্মদ সালমান বলেন, ওয়েবসাইট তৈরিতে প্রাথমিক পর্যায়ে ইনফোটেকের অবদান রয়েছে। তাই তারা তাদের প্রচার আশা করতে পারে। কিন্তু তার অর্থ এই না যে, তারা মাদ্রাসার পরিচয় তাদের মাধ্যমে তুলে ধরবে। ওয়েবসাইট অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের নিজ নামে হতে হবে। অন্য কোম্পানির নাম নিচে থাকতে পারে।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, ওয়েবসাইটের বিষয়টি কোনো বড় সমস্যা নয়। পাশা বিদ্যুৎ সাহেব অনেক দিন এখানে কাজ করেছেন। চাকরি থেকে চলে গেলেও তিনি তার কোম্পানির নাম এখনও ওয়েবসাইটে ব্যবহার করছেন। এতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। অভিভাবক ও কিছু শিক্ষার্থী যেহেতু আপত্তি তুলেছেন, তাই আমরা অবিলম্বে বিষয়টি সমাধান করব।
তিনি বলেন, বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। পরিচালনা পরিষদ তথ্য নিরাপত্তার বিষয়ে ওয়াকিবহাল রয়েছে।
ইনফোটেক সলিউশনের কর্ণধার মো. পাশা বিদ্যুতের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।