বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩ ২৩:২২ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হল। সংগৃহীত ফটো
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে পিটিয়েছেন হল শাখা ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতাকর্মীরা। বুধবার (২৯ মার্চ) বিকালে হল গেটে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান রাথিকের বাইকে হাত রাখে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইজাজুল ইসলাম মুন্না। এ সময় রাথিক মুন্নার সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং মুন্নাকে বাইক চুরির অপবাদ দেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এরপর বিকালে মুন্নার সঙ্গে হল গেটে আবার রাথিকের দেখা হয়। তখন মুন্না রাথিকের কাছে সকালের আচরণের কারণ জানতে চান। একই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে রাথিকের বাইক পড়ে যায়। তখন রাথিক মুন্নাকে মারার জন্য তেড়ে আসেন। এ সময় মুন্নার সঙ্গে থাকা আরও ৭-৮ জন কর্মী মিলে রাথিককে মারধর করে।
তাৎক্ষণিকভাবে রাথিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তাকে মারধরের বিষয়টি অবহিত করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু ও বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলফাত সায়েম জেমসসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের রুমের সামনে গিয়ে মুন্নাকে মারধর করে।
এ বিষয়ে শফিউর রহমান রাথিক বলেন, ‘সামান্য একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। মারামারির কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি।’
মুন্নাকে মারধর করতে দেখা গেলেও আলফাত সায়েম জেমস বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘মাদার বখশ হলে একটা ঝামেলা হচ্ছে জানতে পেরে আমরা স্বাভাবিকভাবে সব হলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সেখানে উপস্থিত হই। পরবর্তীতে সেখানে তেমন কোনো বড় বিষয় লক্ষ্য করিনি, কোনো মারামারির ঘটনাও ঘটেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমাদেরই কর্মীদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একটু মনোমালিন্য ও কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি পরে দুপক্ষকে ডেকে নিয়ে বিষয়টির মীমাংসা করে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে মাদার বখ্শ হলের প্রাধ্যক্ষ শামীম হোসেন বলেন, ‘আমি লিখিত কোনো অভিযোগ পায়নি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি তারাই দেখতে চেয়েছে।’